ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাকির রেদোয়ানকে মারধর করছেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকে মারধর করে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়েছেন রাবি শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যাংকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ছাত্রদল নেতারা হলেন- রাবি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মারুফ হাসান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাকির রেদোয়ান, সোহরাওয়ার্দী হলের ছাত্রদল নেতা নাহিদুজ্জামান নাহিদ, জোহা হলের ছাত্রদল নেতা জাকির হোসেন ও মহানগর ছাত্রদলের আওতাভুক্ত একটি ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক প্রিন্স রাব্বি।

মারধরের বিষয়ে রাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য (দপ্তর) নাফিউল ইসলাম জীবন বলেন, বিএনপির অবরোধকে সমর্থন জানিয়ে আমরা ক্যাম্পাসে মিছিল করছিলাম। এ সময় রাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ধাওয়া করে ব্যাপক মারধর করে এবং পাঁচজন নেতাকে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে জিম্মি করে রাখতে চায়। তারা ছাত্রদলকে ভয় পায়। তাই আমাদের ওপর হামলা, মামলা ও গ্রেপ্তার করে দমিয়ে রাখতে চায়। কিন্তু জীবন দিয়ে হলেও আমরা এই অবৈধ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে ১৮ কোটি জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেই ঘরে ফিরব।

ছাত্রদলের দুই নেতাকে মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, আমরা হরতালের দিন থেকেই ক্যাম্পাসে শক্তভাবে অবস্থান করছি। গত পরশুদিন ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মী দুইটি একাডেমিক ভবনে তালা দিয়েছিল। আমরা তা খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছি। মাহমুদুল মিঠুর নেতৃত্বে আজও কিছু ছাত্রদলের নেতাকর্মী বিশৃঙ্খলা করার জন্য ক্যাম্পাসে এসেছিল। আমরা তাদের ধাওয়া দিয়ে বের করে দিয়েছি। যতক্ষণ শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা চলবে আমরা তাদের পাহারাদার হিসেবে ক্যাম্পাসে অবস্থান করবো।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, আমাদের কাছে এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ দেয়নি। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় জিয়া পরিষদের র‍্যালি করার সময় তারা আমাদেরকে জানিয়েছে তাদের ছাত্রদলের দুইজন নেতাকে মারধর করা হয়েছে। কিছুক্ষণ আগে আমরা ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে বসেছিলাম। তারা জানিয়েছে তারা কারও গায়ে হাত তোলেনি।

জুবায়ের জিসান/এমজেইউ