ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইবিতে সমাবেশ
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনে মধ্যে চলমান সংঘাতে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। ফিলিস্তিনে মুসলমানদের ওপর ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ, নির্যাতন, বোমাহামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের উত্তর গেইটে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিভিন্ন বিভাগের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশে ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র বাহিনী হামাসের চলমান অভিযান ‘অপারেশন তুফান আল আকসা’ এর প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারকে ফিলিস্তিনের পক্ষে সুস্পষ্ট অবস্থান নেওয়ারও আহ্বান জানানো হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইমানের দাবি নিয়ে, তাওহিদের চেতনা নিয়ে আজ আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি। বিপদের সময় এই ইসরায়েলকে ফিলিস্তিন আশ্রয় দিয়েছিল। অথচ ১৯৪৮ সালে ইসরাইলি বাহিনী অবৈধ দখলদারিত্ব কায়েম করে, তারা লাখ লাখ ফিলিস্তিনি মা-বোন, শিশু-কিশোরদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করে। আজকে ইসরাইলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের যে শান্তি মিশন, এটা দেখ পশ্চিমাদের আজকে দরদ উতলে পড়ছে। আমরা জানতে চাই যখন ফিলিস্তিনিদের হত্যা করা হয় তখন আপনাদের দরদ কোথায় ছিল? তখন মানবাধিকার সংস্থাগুলো কোনো বিবৃতি দেয়নি কেনো? ফিলিস্তিনি আজকে যে শান্তি মিশন চালাচ্ছে, আজকে কেন আমেরিকা তাদের বিরুদ্ধে? আজকে বিশ্ব দুভাগে বিভক্ত, একটি জালেম শক্তি আরেকটি মাজলুম শক্তি। বিশ্ববাসী আজ দেখবে কারা জালেমের পক্ষে আর কারা মজলুমের পক্ষে।
তারা আরও জানান, ‘তারা মনে করে মুসলমানরা মনে হয় ঘুমিয়ে গেছে। তাদের অস্ত্র ভোঁতা হয়ে গেছে। আরে এই মুসলমান তারা, যাদের রক্তে সালাউদ্দিন আইয়ুবিদের রক্ত বহমান। তারা ঘুমিয়ে যায়নি। তারা গভীর রাতে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করে চোখের পানি দিয়ে তাদের অস্ত্রকে ধার দেয়। দখলদার জুলুমবাজরা অচিরেই পরাজিত হবে। মুসলমানদের জয় সুনিশ্চিত।’
এ ছাড়া সমাবেশে জাতিসংঘের সমালোচনা করে শিক্ষার্থীরা বলেন, আজকের যে জাতিসংঘ এরা জাতিসংঘ না। এরা বিজাতিসংঘ। তারা মূলত পশ্চিমাদের মদদপুষ্ট সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্র কায়েম করতে চায়। মুসলমানদের জন্য আলাদা জাতিসংঘ সময়ের দাবি।
পরে সমাবেশ শেষে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি সমাবেশস্থল থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক চত্বর হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার সমাবেশস্থলে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় মিছিলে ‘ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ, ইসরায়েল নিপাত যাক’ সহ নানা স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
রাকিব হোসেন/এএএ