কর্মবিরতিতে ইডেনের শিক্ষকরা
ক্যাডার বৈষম্যের নিরসন চেয়ে ৭ দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির ইডেন কলেজের শিক্ষকরা।
আজ (সোমবার) দুপুর পৌনে ১২টায় ঢাবি অধিভুক্ত ইডেন মহিলা কলেজ গেটে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি, ইডেন মহিলা কলেজ ইউনিটের আয়োজনে এই কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। কর্মবিরতির এই অবস্থান কর্মসূচি বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে বলে জানান শিক্ষকরা। ইডেন কলেজের প্রায় ২৬০ জন শিক্ষক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
শিক্ষকরা ক্যাডার বৈষম্যের নিরসন চেয়ে ৭টি দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হলো—
১. আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন
২. সুপার নিউমারারি পদে পদোন্নতি
৩. অধ্যাপক পদ তৃতীয় গ্রেডে উন্নীতকরণ
৪. অর্জিত ছুটি প্রদান এবং ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষা
৫. প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়োগবিধি বাতিল
৬. শিক্ষা ক্যাডার তফসিলভুক্তপদ থেকে শিক্ষা ক্যাডার বহির্ভূতদের প্রত্যাহার ৭. প্রয়োজনীয় পদ সৃষ্টি
বক্তারা বলেন, আমরা সকাল থেকেই ক্যাডার বৈষম্যের নিরসনে আন্দোলনে নেমেছি। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে আন্দোলন করলেও সেটাকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। আমরা যোগ্য হয়েও আমাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। আমাদের নিজস্ব মন্ত্রণালয়ে আমাদের শিক্ষা ক্যাডারের লোকবল রেখে অন্য ক্যাডার থেকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে যা একটা বৈষম্য। বাৎসরিক ছুটি থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। আমরা চাই আমাদের শিক্ষা ক্যাডারে নতুন পদ সৃষ্টি করা হোক এবং আমাদের পদোন্নতিসহ সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
ইডেন মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শামিমা নাসরিন বলেন, আমাদের নিজস্ব মন্ত্রণালয়ে অন্য ক্যাডার থেকে নিয়োগ হয় কিন্তু আমাদের যোগ্য শিক্ষকরা সেই মর্যাদা পায় না। আমাদের শিক্ষকদের পদোন্নতি ৪র্থ গ্রেডে গিয়ে থেমে যায়। আমরাও তো বিসিএস পরীক্ষা দিয়েই ক্যাডার হয়েছি, তাহলে আমরা কেন ১ম, ২য় বা ৩য় গ্রেডে পদোন্নতি পাবো না?
তিনি বলেন, পদোন্নতি না হওয়ায় শিক্ষকদের বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট হয় না। এটা আমাদের প্রতি আর্থিক বৈষম্য। তাছাড়া জুনিয়র শিক্ষকদের পদোন্নতি হতে অনেক বেশি সময় লাগে। আমি নিজে ৮ বছর ধরে পদোন্নতি পাচ্ছি না। আর কতদিন গেলে আমি পদোন্নতি পাবো সেটাও জানি না। একজন শিক্ষক যদি ১৩-১৪ বছরে কোনো পদোন্নতি না পান তাহলে স্বাভাবিকভাবেই তার পাঠদানে আগ্রহ কমে যাবে, যার ফল ভোগ করতে হয় কলেজের শিক্ষার্থীদের।
এনএফ