বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বিএনপি সমর্থকদের মারধর ও গেঞ্জি পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বার মোড় এবং কে আর মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
 
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রোববার সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর এক দফা দাবিতে ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ অভিমুখে বিএনপির রোড মার্চ শুরু হয় দুপুরে।
রোড মার্চের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদান ও রোর্ড মার্চে অংশ নিতে বিএনপি সমর্থকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ রাস্তা ব্যবহার করে। আর এ পথে আগে থেকেই অবস্থান নেয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। তাদের কাউকে বিএনপি সমর্থক সন্দেহ মনে হলেই শুরু করেন মারধর। প্রতিটি মোটরসাইকেল চেক করেন। এ সময় বিএনপি সমর্থিত কিছু পেলেই মারধর শুরু। রোড মার্চ উপলক্ষ্যে তৈরি করা গেঞ্জি, ক্যাপ ও প্ল্যাকার্ড দেখলেও মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে মারধর করেন। পরে বিএনপির লোগো লাগানো গেঞ্জি পোড়ানো হয়। ছাত্রলীগের এমন কর্মকাণ্ডে অনেক সাধারণ শিক্ষার্থীও ভোগান্তির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।
 
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আতিকুর রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের একটি গাড়ি বহর বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে প্রবেশ করলে ছাত্রলীগ তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় চার থেকে পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সম্পাদক শাজাহান শাওনসহ প্রায় ১৫ জন আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তিন জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে বাকৃবি ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান বলেন, বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে এসে সরকার বিরোধী উসকানিমূলক স্লোগান দিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ঠিক রাখার জন্যে আমরা সেটি অবশ্যই প্রতিহত করবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ বহিরাগতরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে মোটরসাইকেল ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে শো-ডাউন দেয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়। পরে তারা তাদের বাঁধা প্রদান করে। এতে অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি হলে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
 
মুসাদ্দিকুল ইসলাম তানভীর/এএএ