র্যাগিং ও যৌন নিপীড়নের দায়ে জবির ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
র্যাগিং ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) তিন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের ৬২তম সভায় বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
সাময়িক বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের দুই শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান (মেহেদী কাওছার) ও রাকিব মোল্লা (রাকিব ইসলাম ফারাবি)।
আরও পড়ুন- জগন্নাথের র্যাগিং চলে বাসে আর ক্লাসে
তাদের দুজনকে জুনিয়র ব্যাচের শিক্ষার্থীদের র্যাগিং দেওয়ার অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে। আরেকজন হলো পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আশিকুল ইসলাম আশিক। এ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে।
শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে র্যাগিংয়ের জন্য ব্যবস্থা নিতে দুইজনের নাম প্রস্তাব করা হয়। মেহেদী ও রাকিব নামে ওই দুই শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এসময় তাদের ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন-জবিতে র্যাগিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হলেই বহিষ্কার
এদিকে সাময়িক বহিষ্কারের পর ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সদস্যরা হলেন- সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফারহানা জামান, সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার এনামুল হক মোল্লা।
এ বিষয়ে প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, আশিকুল ইসলাম নামে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রকে একাধিক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের জন্য সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপীড়ন বিরোধী সেল এই ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করছে।
তিনি আরও জানান, বিভাগীয় একাডেমিক সভায় অপর দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ে সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি রেজুলেশন আকারে বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা কমিটির কাছে জমা দিয়েছে বিভাগ। এটার উপর ভিত্তি করেই এ দুজনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
এমএল/এমজে