ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দেয়ালে গ্রাফিতি করেছে ঢাবি শাখা ছাত্রদল। তবে রাত পেরিয়ে সকাল হতেই সেই গ্রাফিতি মুছে দিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

জানা গেছে, গতকাল শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ডাকসুর সাবেক জিএস প্রার্থী আনিসুর রহমান খন্দকার অনিকের নেতৃত্বে এ গ্রাফিতি করা হয়। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে একদল শিক্ষার্থী ছাত্রদলের আঁকা সেই গ্রাফিতিটি মুছে দেয়।

ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, ঢাবির মধুর ক্যান্টিন ছাড়াও ডাকসু ক্যাফেটেরিয়া, কলা ভবন, টিএসসির পেছনের দেওয়াল, শহীদ মিনারসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দেয়ালে ২১টি গ্রাফিতি তৈরি করেন তারা। এ সময় ঢাবি শাখা ছাত্রদলের ক্রীড়া সম্পাদক মো. আল আমিনসহ বিভিন্ন হল শাখার ১২ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

গ্রাফিতিগুলোতে খালেদা জিয়ার স্লোগান ‌‘দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও’, তারেক রহমানের স্লোগান ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ/ঘুরে দাঁড়াও বাংলাদেশ’ এবং 'তারেক রহমান বীরের বেশে আসবে ফিরে বাংলাদেশে’ লিখা ছিল।

গ্রাফিতি কে বা কারা মুছে ফেলতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক বলেন, ছাত্রদলের গ্রাফিতি মোছার সাহস ক্যাম্পাসে একক আধিপত্য বিস্তার করা ছাত্রলীগ ছাড়া কেউ করতে পারে না। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগই একমাত্র প্রতিক্রিয়াশীল সংগঠন যারা বিরোধী দল ও মতকে দমন করতে সামান্য কার্পণ্যবোধ করে না। আমি বিশ্বাস করি, ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাদের মদদেই এই গ্রাফিতি মুছে ফেলা হয়েছে।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেক্রেটারি তানভীর হাসান সৈকত বলেন, প্রথমত, আমি প্রশ্ন রাখতে চাই কেউ যদি গ্রাফিতি আঁকতে চায় তাহলে গভীর রাতে বা ভোর রাতে কেন সেটা বাস্তবায়ন করবে? তাছাড়া গ্রাফিতিতে আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে (তারেক রহমান) কেন বীর হিসেবে উল্লেখ করা হবে? তবে একদল সাধারণ শিক্ষার্থী আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে, সংবিধানের প্রতি সম্মান দেখিয়ে সকালে ছাত্রদলের আঁকা গ্রাফিতি মুছে ফেলে প্রকৃত বীরের পরিচয় দিয়েছে। আমি তাদের এমন কাজের প্রশংসা করি এবং তাদের ধন্যবাদ জানাই।

এসকেডি