জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় জবিসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। 

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবনের সিএসই অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধুর উপর নির্ধারিত কবিতা প্রতিযোগিতা দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতার আয়োজন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি সংসদ।

প্রথম ধাপের জন্য নির্ধারিত তিনটি কবিতা হলো, রফিক আজাদ রচিত এই সিঁড়ি, কামাল চৌধুরী রচিত বত্রিশ নম্বর, তারিক সুজাত রচিত আমি আমি আমার আঁতুড় ঘরে পথ হারালাম। এগুলোর মধ্যে যে কোন ১টি আবৃত্তি করে দ্বিতীয় ধাপে উত্তীর্ণ হন ২০ জন প্রতিযোগী। ২য় ধাপে একত্রে দুটি কবিতা আবৃত্তি করতে হয়। কবি শামসুর রাহমানের ধন্য সেই পুরুষ অথবা নির্মলেন্দু গুণের আমি আজ কারও রক্ত চাইতে আসিনি এবং স্বরচিত বা নির্বাচিত একটি কবিতা।

প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের দপ্তর সম্পাদক শিরিন ইসলাম, আবৃত্তি সংসদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক উপদেষ্টা কে. এম. সুজাউদ্দিন এবং  বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি সংসদের ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা কামরুল ইসলাম জুয়েল।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের দপ্তর সম্পাদক ও অনুষ্ঠানের বিচারক শিরিন ইসলাম বলেন, আবৃত্তির মাধ্যমে আমাদের অন্তরের সম্পর্কে সৃষ্টি হচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে তোমরা এসেছো এটা প্রশংসনীয়। এটা প্রমাণ করে তোমরা আবৃত্তিকে ভালোবাসো। আবৃত্তিকারকে আবৃত্তির মাধ্যমে প্রতিটি শব্দকে চোখের সামনে দেখতে হবে। যখন একজন আবৃত্তিকার শব্দটি দেখতে পাবে তখন দর্শকরাও তা দেখতে পাবে।

শাহাদাৎ হোসেন নিপু বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি সংসদ সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। তারা এমন একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে যা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অনুসরণীয়। 

প্রতিযোগিতায় যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জান্নাত আরা ও জান্নাতুল ফেরদৌস মুক্তা এবং তৃতীয় হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুনতাকা রাইসা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি সংসদের উপদেষ্টা কামরুল ইসলাম জুয়েলের সভাপতিত্বে সংসদের সাধারণ সম্পাদক মো. রিয়াজুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রতিযোগিতাটি সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি এহসানুল হক রকি।

আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় দেশের ১১ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি বাংলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সিটি ইউনিভার্সিটি, নগর নার্সিং কলেজ, রাজশাহী ও ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজ।

এমএল/এমএসএ