জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অধ্যাপকদের মধ্য থেকে কোষাধ্যক্ষ (ট্রেজারার) নিয়োগের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। 

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. একেএম লুৎফর রহমান। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত জানিয়ে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

সমিতির সভাপতি ড. আইনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ড. একেএম লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত ওই স্মারকলিপিতে আরো কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়। সেগুলো হলো- নতুন ক্যাম্পাসের দ্রুত অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ, দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে (প্রক্টর, অর্থ ও হিসাব, আইসিটি দপ্তর ইত্যাদি) কর্মরতদের স্থলে নতুন নিয়োগ প্রদান, শিক্ষকদের জন্য সান্ধ্যকালীন পরিবহন সুবিধা পুনরায় চালু করা।  

এছাড়াও স্মারকলিপিতে ৯৩তম সিন্ডিকেট সভা দ্রুত আহ্বান এবং ওই সভায় এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি, বিভিন্ন পর্যায়ে পদোন্নতি, শিক্ষা ছুটি, পরীক্ষা ও অন্যান্য কাজের সম্মানী সংক্রান্ত নতুন প্রস্তাবিত পারিতোষিক বিল, স্বাস্থ্যবিমা চালু করার লক্ষ্যে এন্ডাউমেন্ট ফান্ড এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অবসর গ্রহণ ও পেনশন সংবিধি অনুমোদনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি আয়োজিত ৫ম সাধারণ সভায় শিক্ষকদের সর্বসম্মতিক্রমে এসব প্রস্তাবনা পাস করা হয়।

উল্লেখ্য, আগামী ২৭ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ট্রেজারার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদের চার বছর মেয়াদ পূর্ণ হবে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল, অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক ড. নাসির উদ্দিনের নির্ধারিত মেয়াদ দুইবছর হলেও তারা অনির্দিষ্টকাল ধরে (চার বছরের বেশি) স্বপদে বহাল রয়েছেন। অন্যদিকে আইসিটি সেলের পরিচালক উজ্জ্বল কুমার আচার্য ৬ বছরের বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের জায়গায় নতুন শিক্ষক নিয়োগ দায়িত্ব দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে জবি শিক্ষক সমিতি দাবি জানিয়ে আসছে।

এমএল/জেডএস