চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) যাওয়ার পথে শাটল ট্রেনে গাছের ধাক্কায় ছাদে থাকা অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থী আহতের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে মধ্যরাতে উত্তাল হয়েছে চবি ক্যাম্পাস। এ ঘটনার জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর করেছেন ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। 

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে ভাঙচুর ও আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করেন।

এর আগে, রাত সাড়ে ৮টার শাটল ট্রেন ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছালেই শিক্ষার্থীরা নেমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক আটকে দেন। এ সময় তারা আগুন জ্বালিয়ে প্রশাসনের নিকট শিক্ষার্থী আহতের জবাব ও শাটল ট্রেনের বগি বাড়ানোর দাবি জানান। এছাড়াও জিরো পয়েন্টে অবস্থিত পুলিশ বক্সে ভাঙচুর চালান শিক্ষার্থীরা।

রাতের শাটল ট্রেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দায়ী করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

এদিকে আহতদের কয়েকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলেও জানা গেছে।

এর আগে, নগরীর বটতলী স্টেশন থেকে রাত সাড়ে ৮টায় ছেড়ে আসা শাটল ট্রেন চৌধুরীহাট এলাকায় আসলে শাটল ট্রেনের ছাদে গাছের ধাক্কায় অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হন। 

তবে এসব ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম শিকদারকে কল দিলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭ হাজার শিক্ষার্থীর একমাত্র বাহন শাটল ট্রেন৷ তবে দীর্ঘদিন ধরে শাটল ট্রেনে বগি সংকট ভোগান্তির কারণ হয়ে  দাঁড়িয়েছে। শিক্ষার্থীদের তুলনায় শাটল অপর্যাপ্ত হওয়ায় বাধ্য হয়ে ছাদে উঠতে হয় শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে শাটলের বগি বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসলেও মিলছে না কোন সুফল। যার ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। 

রুমান/এমএসএ