ড. ইউনূস ইস্যুতে জবিশিস
বিদেশিদের চিঠি, বিচার ব্যবস্থার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইনে চলমান মামলায় বিচার প্রক্রিয়া স্থগিতের দাবিতে ১৬০ বিদেশির বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জবিশিস)। একইসঙ্গে বিবৃতি প্রত্যাহার করে বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
বিবৃতিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এই চিঠিকে অনভিপ্রেত, অশোভন এবং বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর সরাসরি নগ্ন হস্তক্ষেপের শামিল বলে মনে করছে। বিশ্বব্যাপী খ্যাতি ও পদমর্যাদা ব্যবহার করে একদল সম্মানিত ব্যক্তি কর্তৃক একটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশের স্বাভাবিক বিচার প্রক্রিয়া বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর অবৈধ হস্তক্ষেপ। শিক্ষক সমিতি মনে করে সংবিধানের ৯৪ (৪) ধারা মতে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণরূপে স্বাধীনভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং যেকোনো আদালতের বিচারের রায়ে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির উচ্চ আদালতে যাওয়ার অধিকার রয়েছে।
স্বাধীন বিচারব্যবস্থার উপর ভিন্ন দেশের নাগরিকদের অযৌক্তিক ও অযাচিত হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই কাম্য নয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি নীতি নৈতিকতা ও শিষ্টাচার বিবর্জিত অনাকাঙ্ক্ষিত এই উদ্বেগের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষক সমিতি এই খোলা চিঠিটি প্রত্যাহার পূর্বক যেন ওই বিদেশি নাগরিকরা বাংলাদেশের জনগণের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন এই আহ্বান জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ আগস্ট ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা স্থগিত করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে ১৬০ বিশ্বনেতার লেখা একটা খোলা চিঠি প্রকাশিত হয়। চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস-হোর্তা প্রেসিডেন্ট, আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট মেরি রবিনসন, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুনের মতো ব্যক্তিত্ব স্বাক্ষর করেন।
এমএল/এমএসএ