দ্বিতীয়বারের মতো দেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে স্পেস রোবটিক্স ক্যাম্প
মহাকাশ গবেষণায় রোবটের ভূমিকা অপরিহার্য। মহাকাশ নিয়ে প্রতিটি গবেষণায় জড়িয়ে আছে রোবটিক্সের কার্যক্রম। ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন থেকে শুরু করে চন্দ্র অভিযান এবং মার্স মিশন প্রতিটি জায়গায় কাজে লাগাতে হচ্ছে রোবটকে। সাম্প্রতিক উদ্ভাবিত রোবট পার্সিভারেন্স, যা এ মুহূর্তে মঙ্গলগ্রহে অবস্থান করছে। এ পার্সিভারেন্স রোবটসহ বিভিন্ন রোবট প্রতিনিয়ত আমাদের প্ল্যানেটের বিভিন্ন ধরনের তথ্য নিয়মিত পাঠিয়ে মহাকাশ গবেষণায় সহায়তা করে যাচ্ছে।
ভবিষ্যতে এ রোবটিক্সের ব্যবহার আরও বাড়বে। রোবটিক্সের বিভিন্ন অ্যাক্টিভিটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে সায়েন্স, টেকনোলোজি, ম্যাথম্যাটিকস, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্রোগ্রামিং-এর বিভিন্ন অংশ।
বিজ্ঞাপন
এরই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম এবং স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্প-এর যৌথ আয়োজনে আগামী ২৯-৩০ সেপ্টেম্বর আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) ক্যাম্পাসে ৪-১৬ বছর বয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ স্পেস রোবটিক্স ক্যাম্প।
আয়োজনটিতে মহাকাশ গবেষণায় স্পেস রোবট যে কার্যক্রমগুলো করে- যেমন ড্রাগিং, ডাটা কালেকশন, স্যাম্পল কালেকশন, ইমেজ প্রসেসিংসহ ইত্যাদি বিষয়গুলো। ক্যাম্পে প্রায় ১০ ধরনের রোবট সম্পর্কে বাচ্চারা হাতে কলমে শিখবে এবং তারা নিজেদের রোবট নিজেরাই বানাবে। এছাড়াও থাকছে স্পেস রোবট প্রোগ্রামিং, অ্যাস্ট্রোনট ট্রেনিং, গ্রাভিটি এক্সপেরিয়েন্স ইত্যাদি।
আয়োজন সম্পর্কে বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের প্রেসিডেন্ট আরিফুল হাসান অপু বলেন, আমাদের এ ক্যাম্পে বাচ্চাদের মূলত স্পেস রোবটিক্সের বিভিন্ন ধরনের অ্যাক্টিভিটি এবং সাম্প্রতিক উদ্ভাবিত রোবটগুলো কী ধরনের কার্যক্রম প্ল্যানেটে গিয়ে করছে, বিশেষ করে- মঙ্গলগ্রহে কী কী করছে তা দেখানো হবে। এভাবে তারা শিখবে টিমওয়ার্ক এবং কীভাবে একটা প্রবলেম সলভ করা যায়। আমরা মনে করি, আজকের প্রজন্ম আগামী দিনের বাংলাদেশের মহাকাশ গবেষণার কাণ্ডারি।
আয়োজনটিতে ভেন্যু পার্টনার হিসেবে রয়েছে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এবং নলেজ পার্টনার হিসেবে রয়েছে ক্রিয়েটিভ জুনিয়র।
স্পেস রোবটিক্স ক্যাম্পে অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে এ ঠিকানায়- https://spacecampbd.com/spaceroboticscamp/
এফকে