সাংবাদিকতা শুরু করলেন সেই তামান্না
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে (যবিপ্রবিসাস) যোগ দিলেন যশোরের সেই অদম্য মেয়ে তামান্না আক্তার নূরা। তিনি দেশের জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করবেন।
জন্ম থেকেই দুই হাত ও ডান পা নেই তামান্নার। এক পা দিয়েই প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পাড়ি দিয়ে বর্তমানে পড়াশোনা করছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি)। হাজারো প্রতিকূলতার মাঝেও হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, লেখক। এবার সাংবাদিকতায় পা রাখতে যাচ্ছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
সব প্রতিবন্ধকতাকে জয় করা অদম্য মেয়ে তামান্না আক্তার নূরা। যবিপ্রবির ইংরেজি বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী তিনি। যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের রওশন আলী ও খাদিজা পারভীন দম্পতির বড় সন্তান তামান্না। রওশন আলী স্থানীয় ছোট পোদাউলিয়া দাখিল মাদ্রাসার (নন-এমপিও) বিএসসির শিক্ষক। বড় মেয়ে তামান্নার জীবনযুদ্ধের অন্যতম নায়ক বাবা রওশন ও মা খাদিজা।
সাংবাদিক সমিতিতে যোগদানের বিষয়ে তামান্না বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে সঠিকভাবে উপস্থাপন করা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। সাংবাদিক সমিতিতে কাজ করার মাধ্যমে আমি সেই দায়িত্ব পালন করতে পারব। আমার শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও সাংবাদিক সমিতি আমাকে এত সহজে গ্রহণ করেছে এজন্য আমি কৃতজ্ঞ। এছাড়া আমার এ কাজের মাধ্যমে অন্যান্য বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরাও উৎসাহ পাবে।
আরও পড়ুন : তামান্নার সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী
এ বিষয়ে যবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সজীবুর রহমান বলেন, তামান্না লেখালেখির ব্যাপারে ভীষণভাবে আগ্রহী। আমরা তাকে সাংবাদিক সমিতিতে কাজ করার সুযোগ দিয়েছি। আশা করি তিনি তার প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অর্জন, দুর্নীতি ও অনিয়মকে লেখার মাধ্যমে তুলে ধরবেন এবং তার কাজের মাধ্যমে সাংবাদিক সমিতিকে আরও বলিষ্ঠ অবস্থানে নিয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন: সব বাধা পেরিয়ে এক পায়েই চমক তামান্নার
তামান্না নূরার যবিপ্রবিসাসে যোগদানের ব্যাপারে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, তামান্না নূরা সাংবাদিক সমিতিতে যোগদান করেছে আমি তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকার পরও তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু যারা সুস্থ আছে তারাও এমন কিছু করছে না। আমি আশা করি সাংবাদিক সমিতি ভবিষ্যতে আরও ভালো কাজ করবে।
এএএ