বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর বলেছেন, আমি অপেক্ষা করছি কবে শুনতে পাব পাকিস্তান দেউলিয়া হয়ে গেছে। পাকিস্তানের অবস্থা খুবই নাজেহাল। এরই মধ্যে তারা নৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে, শুধু বাকি অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হতে।

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

আরও পড়ুন : চাঁদের অজানা অংশ যেভাবে ছুঁয়ে ফেলল ভারত

ড. জাফর ইকবাল আরও বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে জয় বাংলা স্লোগানের মধ্য দিয়ে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে নির্মম হত্যার পর পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগানের আলোকে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ স্লোগানের আর্বিভাব হলো এ দেশে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমরা দেখতে পেলাম, যারা এতদিন আমাদের দেশকে স্বীকৃতি দেয়নি তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিতে থাকল। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য, চীন, যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম। এরপর আমরা কী দেখতে পেলাম, যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তারাই দেশের মন্ত্রিত্বের চেয়ারে। এটা আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় দুঃখের বিষয়। 

এ সময় তিনি ভারতের চাঁদে অবতরণের কথা উল্লেখ করে বলেন, এটা দেখে আমার হিংসা হয়েছে। আমার দুঃখ লাগে আমরা এখনো টেকনোলজির দিক থেকে অগ্রসর হতে পারিনি। আমাদের বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য ইলন মাস্কের কাছে নির্ভর করতে হয়েছে। আমার বিশ্বাস বঙ্গবন্ধু আজ বেঁচে থাকলে এটা হতে দিতেন না। টেকনোলজির দিকে বঙ্গবন্ধুর একটা বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি ছিল। সে বিষয়ে তার লেখা ‘আমার দেখা নয়া চীন’ বইতে আলোকপাত করেছেন।

আরও পড়ুন : যেভাবে চাঁদের মাটি স্পর্শ করবে ভারতের চন্দ্রযান-৩

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইমদাদুল হক বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে আমাদের দেশকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি যেন ক্ষমতায় থাকতে না পারে সেজন্য দেশি বিদেশি নানা চক্রান্ত চলছেই। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই।

অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা শিক্ষক সমাজের সভাপতি অধ্যাপক ড. হোসেন আরা বেগমের সভাপতিত্বে ও সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার মোস্তাসির হাসান এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড কামাল উদ্দীন আহমেদ।

আরও পড়ুন : চন্দ্রাভিযানে ভারতের খরচ হলো কত?

আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ইশতিয়াক রেজা, অধ্যাপক লাইসা আহমদ লিসা ও স্বাধীনতা শিক্ষক সমাজের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো নাসির উদ্দীন।

এমএল/এসকেডি