কুবি শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের ঘটনায় ডুজার উদ্বেগ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈনের বক্তব্য নিয়ে প্রতিবেদন করার জেরে সাময়িক বহিষ্কার হয়েছেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ও যায়যায়দিন পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রুদ্র ইকবাল। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা)।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) ডুজা সভাপতি মামুন তুষার ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম রুবেল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এতে বলা হয়, গত ৩১ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের নবীনবরণ ও বিদায় অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন দুর্নীতি নিয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করেন। পরে তার বক্তব্য উদ্ধৃত করে যায়যায়দিন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর জেরে বুধবার (২ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অফিস আদেশে বলা হয়-উপাচার্যের বক্তব্যকে ‘বিকৃত করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে, বিভ্রান্তিমূলক ও মিথ্যা তথ্য প্রচারে’র অভিযোগে সংশ্লিষ্ট সংবাদকর্মী রুদ্র ইকবালকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে এমন শাস্তি দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন পদক্ষেপ যুক্তিযুক্ত নয় জানিয়ে বিবৃতিতে ডুজা নেতারা বলেন, সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে ওই নবীন সংবাদকর্মী কোনো ভুল করে থাকলে তা প্রতিকারের জন্য আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা বাঞ্ছনীয় ছিল। এছাড়া বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ জানানো যেত। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা না করে ওই সংবাদকর্মীর পেশাজীবনের ঘটনার প্রতিক্রিয়া তার শিক্ষাজীবনের ওপর দেখিয়েছে; যা কোনো বিচারেই যুক্তিযুক্ত নয়।
ডুজা নেতারা বলেন, সংবাদ প্রকাশের জেরে একজন সাংবাদিককে প্রশাসনিক শাস্তির মুখোমুখি করার নিকৃষ্ট নজির স্থাপন করল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। যা দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনকে এ পথ অনুসরণে প্রলুব্ধ করতে পারে। এতে সারাদেশে ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের স্বাধীন সাংবাদিকতা চর্চা ব্যাহত হতে পারে।
রুদ্র ইকবালের ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দেওয়াসহ ক্যাম্পাস সাংবাদিকতায় প্রচলিত আইন ও রীতি অনুসরণ করতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানায় ডুজা।
এইচআর/জেডএস