ঢাকার কানাডিয়ান হাইকমিশনে ভিসার জন্য আবেদন করার এক মাস পরও ভিসা পাননি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এ নিয়ে নানা সমালোচনার জবাবে উপাচার্য বলেছেন যদু-মধু, রহিম-করিম কে কী বলল এগুলো সব দেখার এবং শোনার সময় আমাদের নেই।

বুধবার (১৯ জুলাই) বিকেলে ভিসা প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ঢাকা পোস্টকে এ কথা বলেন তিনি।

উপাচার্য বলেন, অনেকে বিষয়টি নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে কানাডা হাইকমিশন এখনো ভিসার আবেদন বাতিল করেনি, এটি এখনো প্রসেসিংয়ে আছে।

তিনি বলেন, প্রথম ভিসা হলে তারা ২-৩ মাস সময় নেয়। ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে বিষয়টা আমাদের জানানো হয়েছিল। কিন্তু আমাদের ছুটি পেতে অনেক ক্লিয়ারেন্স লাগে তাই দেরি হয়ে গেল। পরে ১৫ জুন আমরা আবেদন করলাম। তারা এখনো ব্যাপারটা প্রসেসিংয়েই রেখেছে।

আরও পড়ুন : কানাডার ভিসা প্রসঙ্গে যা বললেন ঢাবি উপাচার্য

অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, কত ধরনের অশুভ মানুষ থাকে, কত ধরনের অসৎ উদ্দেশ্য, রাজনীতি, কত কিছু থাকে। সবকিছু আমলে নেওয়ার আমাদের দরকার নেই। যথাযথ কর্তৃপক্ষ থেকে বললে তবেই না আমরা বুঝব। এজন্য যদু-মধু, রহিম-করিম কে কী বলল এগুলো সব দেখার এবং শোনার সময় আমাদের নেই।

উপাচার্যের ভিসা না পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ও বাইরে নানা ধরনের আলোচনা সমালোচনা চলছে। পদাধিকার বলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কূটনৈতিক পাসপোর্টের অধিকারী হয়ে থাকেন বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র এক অধ্যাপক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এই সময়ের মধ্যেও ভিসা পাননি, শিক্ষক হিসেবে আমি মনে করি এটা দুঃখজনক। এর জন্য রিসেন্ট ও অতীত কর্মকাণ্ড দায়ী বলেই আমি মনে করি। এছাড়া ভিসা নীতি নিয়ে উনার বেফাঁস মন্তব্যও ভিসা না পাওয়ার কারণ হতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ চর্চার ক্ষেত্রে উপাচার্যের নেতিবাচক অবস্থানও বহির্বিশ্বের কাছে বিবেচ্য বিষয় বলে আমি মনে করি।

 ‘অ্যাসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটিজ সিম্পোজিয়াম-২০২৩’-এ  যোগ দিতে কানাডায় যাওয়ার কথা ছিল উপাচার্য আখতারুজ্জামানের। বুধবার (১৯ জুলাই) এ সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। আমন্ত্রণ পেলেও ভিসা না পাওয়ায় সেখানে অংশ নিতে পারছেন না তিনি।

এইচআর/এসকেডি