ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে শয়ন
‘কমিটি নেই, তবু ছাত্রলীগকর্মীদের মনে কেউ চিড় ধরাতে পারেনি’
ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেছেন, দীর্ঘদিন ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগের কমিটি নেই, তবু কর্মীদের মনোবলে কেউ চিড় ধরাতে পারেনি। এটি আমাদের জন্য গর্বের। ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী যারা রয়েছেন আমরা তাদের নিয়ে গর্ববোধ করি।
সোমবার (১৭ জুলাই) বিকেলে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় তার সাথে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতও ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
শয়ন বলেন, ঢাকা কলেজের যারা শিক্ষার্থী রয়েছেন তাদেরকে আমরা আপন ভাইয়ের মতো মনে করি। বিভিন্ন সংকটে, সংগ্রামে দুর্যোগে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। রাজপথে তারা দেশনেত্রী শেখ হাসিনার পথকে মসৃণ করার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন এবং এটি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অন্যতম একটি বৃহত্তম ইউনিট এবং বৃহত্তম ফোর্স।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ অতীতে যেভাবে রাজপথে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে ভবিষ্যতেও জাতীয় রাজনীতিতে তারা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।
শুধু ঢাকা কলেজ নয় বরং অধিভুক্ত সাতটি কলেজের একাডেমিক এবং রাজনৈতিক পরিবেশও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সুন্দর করার আশা জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষার মান বাড়াতে ঢাকা কলেজসহ ঢাকার সাতটি বড় প্রতিষ্ঠানকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়েছে। এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী চিন্তাভাবনার অন্যতম ফসল। এখান থেকে কীভাবে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা যায় এবং একাডেমিক পরিবেশ কীভাবে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমান মর্যাদা করা যায় সেসব নিয়ে তিনি পরিকল্পনা করেছেন। সেজন্য প্রাথমিক অবস্থায় জটিলতা থাকলেও এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী যারা রয়েছে তারা যে একাডেমিক সিলেবাসে পড়ছে আমরা দেখতে পাচ্ছি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরাও সেই একই একাডেমি সিলেবাসের পড়া পড়ছে। আমরা সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নানামুখী সংকটে পাশে দাঁড়াব। তাদের যেকোনো যৌক্তিক দাবি আদায়ে যদি পাশে থাকতে পারি তবে নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করব।
নব্যঘোষিত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বিভিন্ন পদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আধিক্যতার বিপরীতে বিকেন্দ্রীকরণের সুযোগ ছিল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেখুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের শিক্ষার্থীরা এসব পদে পদায়িত হয়েছেন। আমরা তাদের অভিনন্দন জানিয়েছি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ চলবে তাদের মাধ্যমে। তবে যদি এমন কোন বিষয় থাকে যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী কেন্দ্রীয় কমিটির সুযোগ পাচ্ছেন আর অন্যান্য ইউনিট থেকে সুযোগ পাচ্ছেন না সেটি আমি মনে করি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা রয়েছেন তাদের সাথে কথা বলে যদি কোনো অসঙ্গতি থেকে থাকে বা পদপ্রাপ্তির বিষয়ে কোনো মনঃক্ষুন্নতা অন্য ইউনিটগুলোতে থেকে থাকে তবে আমার কাছে মনে হয় সেটি সমাধান করা সম্ভব। সেটি তারাই বিবেচনা করতে পারবেন।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত করার পেছনে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা বড় ভূমিকা পালন করেছে। ওনার নির্দেশে বাংলাদেশের সেরা সাতটি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় আনা হয়েছে। যেখানে প্রধানমন্ত্রীর একটি দীর্ঘ পরিকল্পনা রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ মনে করে সাতটি কলেজের সাথে আমাদের আরও সুন্দর ও নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠবে।
তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক মান এবং সাত কলেজের রাজনৈতিক মান সমান হয়ে যাক। কেউ যেন কোনো জায়গা থেকে এমন মনে করতে না পারেন যেকোনোভাবে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। তাছাড়া সকল বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সবসময় সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে।
এ সময় ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরএইচটি/এমএ