টিটি কলেজে সাংবাদিক পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা
রাজধানীর সরকারি টিচার্স ট্রেনিং (টিটি) কলেজের হলের গেট খোলা রাখার দাবিতে ছাত্রীদের আন্দোলনের সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিককে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ঐ সাংবাদিকের নাম নয়ন মোড়ল৷ আর অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম মো. মফিজুল ইসলাম সুজন৷ তিনি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে এই ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
সাংবাদিককে মারধরের ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ ঢাকা পোস্টের হাতে এসেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম সুজনসহ সংগঠনটির বেশ কয়েকজন কর্মী সাংবাদিক নয়ন মোড়লকে অশালীন ভাষায় গালমন্দ ও মারধর করছেন৷ সেসময় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে শরীফ, ফরিদ মিয়া, সানাউল আলম হীরা, তাওফিকুল ইসলাম, সানি ও মুন্না সাংবাদিককে মারধর করেন।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক নয়ন মোড়ল বলেন, আমি পরীক্ষা শেষ করে যখন হলের কক্ষ থেকে বের হয়েছি তখন কয়েকজন ছাত্রলীগের কর্মী এসে বলেন, সুজন ভাই তোকে ডেকেছে। পরে ছাত্রলীগ নেতা সুজনসহ উপস্থিত সবাই আমাকে বলে গতকালের ঘটনায় তুই কেন নিউজ করেছিস? জবাবে আমি বলি, আমি তো কোনো নিউজ করিনি৷ পরে সুজন বলেন, তোর কারণে ক্যাম্পাসের মান-ইজ্জত নষ্ট হয়েছে৷ এই বলে তারা আমাকে গালাগাল ও মারধর করতে থাকে৷ পরে আমার বন্ধুরা আমাকে তাদের হাত থেকে বাঁচায়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মফিজুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, মারধর করিনি৷ এমন কিছু ঘটেনি।
এ বিষয়ে টিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. হাসিবুর রহমান বলেন, আমি এ ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানি না। প্রিন্সিপাল স্যারের কাছে এসেছি বিস্তারিত কথা বলার জন্য৷ অভিযোগের সত্যতা পেলে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ঘটনা বিশ্লেষণ করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া আশ্বাস দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি। তিনি বলেন, ওই সাংবাদিক নিজেই আমাকে ফোন করেছিলেন। আমি তার সঙ্গে কথা বলেছি৷ ঘটনার কিছু তথ্য-উপাত্ত আমি তার কাছ থেকে নিয়েছি। এসব বিশ্লেষণ করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দ্রুতই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনার বিষয়ে জানতে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক গোলাম ফারুককে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
প্রসঙ্গত, বুধবার (১৪ জুন) রাতে টিটি কলেজের ছাত্রীদের হলের গেট রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা রাখার দাবিতে অধ্যক্ষের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা৷ এই ঘটনায় বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
আরএইচটি/কেএ