ঢাবির মঞ্চে আসছে জার্মান নাটক ‘এফিগিনিয়া’
‘আবাদ করলে ফলবে সোনা’ স্লোগানকে সামনে নিয়ে শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্চে প্রথম প্রযোজনা ‘এফিগিনিয়া’ মঞ্চায়নের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে নতুন থিয়েটারদল ‘ক্রিয়েটিভ ক্যুলটুরা’।
জার্মান নাট্যকার উলফ্গ্যাঙ ফন গ্যোটের রচনা এবং মামুন হকের অনুবাদ ও নির্দেশনায় নাটকটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটমণ্ডল মিলনায়তনে শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
নাটকটিতে অভিনয় করেছেন থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম সায়ান, মো. তানভীর আহম্মেদ, প্রণব রঞ্জন বালা, মুনিরা মাহজাবিন মিমো, জিনিয়া ইসলাম, বিজয় চন্দ্র সিংহ, মো. বখতিয়ার খলজি হাশর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাইম একশন (ডুমা)-এর সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান।
প্রযোজনাটিতে মঞ্চ ব্যবস্থাপনায় আছেন মো. তানভীর আহম্মেদ, মঞ্চ ও আলোক পরিকল্পনা করেছেন আশরাফুল ইসলাম সায়ান, মঞ্চ পরিকল্পনা সহযোগী কাজী রুবেল, আলোক প্রক্ষেপণ করেছে জাদিদ ইমতিয়াজ আহমেদ, মুজাহিদুল ইসলাম রিফাত।
নাটকে, সংগীত পরিকল্পনা করেছেন প্রণব রঞ্জন বালা, সংগীত প্রয়োগ করেছে সিঁথি ইষরা রিচিল, পোশাক ও দ্রব্য পরিকল্পনা করেছে উম্মে হানী, পোশাক পরিকল্পনা সহযোগী হিসেবে ছিলেন শাহী ফারজানা তানজীম (মিমি) এবং দ্রব্য পরিকল্পনা সহযোগী ছিলেন মুনতাকা বিনতে হক ইরা।
পাশাপাশি, নাটকে দেহ বিন্যাস ও চলন পরিকল্পনা করেছে রিমি রফিক, রূপসজ্জা পরিকল্পনা করেছে আলফতউন আলিসজ্ঞান প্রত্যাশা এবং অর্কেস্ট্রায় ছিলেন মনোহর চন্দ্র দাস। (ভায়োলিন) বিজয় চন্দ্র সিংহ (বাঁশি), কথক বিশ্বাস জয় (হারমোনিয়াম ও নাকারা)।
এছাড়াও, নাটকে পোস্টার ডিজাইন করেছেন নাহিদ আলিফ এবং স্থির চিত্র ধারণ করছেন নাহিদ হাসান ও নিরব তাহসান। প্রযোজনাটি নির্মাণে বিশেষ সহযোগিতা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ভিত্তিক সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাইম অ্যাকশন (ডুমা)।
নাটক সম্পর্কে নাটকটির নির্দেশক মামুন হক বলেন, এফিগিনিয়া একজন আদর্শ মানুষের চরিত্র, শান্তির বার্তাবাহক। ভালো মানুষের চরিত্রকে মঞ্চে উপস্থাপন করার মধ্য দিয়ে আমরা বর্তমান সময়ে মানবিক মানুষের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে চাই। বর্তমান পৃথিবীর সংঘাতময় পরিস্থিতিতে আশার আলোর সূচনা করতে চাই এই নাটকটির মধ্য দিয়ে।
নাটকটি সম্পর্কে জানা যায়, ‘টাউরিস দ্বীপে এফিগিনিয়া’ ওয়েমার ক্লাসিকাল সময়ের (১৭৮০-১৮০০) একটি গুরুত্বপূর্ণ নাটক। ১৭৭৯ সালে গ্যোটে প্রথমবার এই নাটকটি রচনা করেন। পরবর্তীতে ১৭৮৭ সালে তিনি পুনরায় ‘ব্ল্যাঙ্ক ভার্সে’ এই নাটকটি লেখেন। এফিগিনিয়া একজন আদর্শ মানুষের চরিত্র, এবং এই আদর্শিক চরিত্রের ইমানুয়েল কান্টের ‘আইডিয়ালিজম’র সংযোগ রয়েছে।
নাটকটিতে দেখা যায় যে, পিতার বলির তরবারি নিচ থেকে বাঁচিয়ে এফিগিনিয়াকে টাউরিস দ্বীপে নিয়ে আসেন দেবী ডায়না। সেই থেকে টাউরিস দ্বীপে দেবী ডায়নার ধর্মযাজক হিসেবে কর্মরত আছে এফিগিনিয়া। নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়ার অপেক্ষায় সে। এদিকে টাউরিসের রাজা থোয়াস এফিগিনিয়ার কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট হয়ে তাকে বিবাহের প্রস্তাব জানায় সে। একই সময় সেই দ্বীপে আগন্তুকের বেশে প্রবেশ করে এফিগিনিয়ার ভাই অরেস্ট ও ফিলাডেস। টাউরিসের আইন অনুযায়ী তাদের বলিদানের আদেশ প্রদান করেন রাজা। পরবর্তী, তাদের বলিদান রদ করা হয় এবং এফিগিনিয়া তার ভাইদের সাথে মাতৃভূমি আর্গসে ফিরে যায়।
এইচআর/এসকেডি