গুচ্ছের পক্ষে টেবিল চাপড়ানোয় জবি শিক্ষককে হেনস্তার অভিযোগ
সমন্বিত গুচ্ছ পরীক্ষা পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি কেন্দ্রীয় ও অনুষদভিত্তিক কমিটি গঠনের জন্য বিশেষ অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুল কাদেরকে শারীরিক হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে ৬৫তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভা চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
সভায় অংশ নেওয়া শিক্ষকরা জানান, সভা চলাকালে দাঁড়িয়ে দুই হাত দিয়ে জোরে টেবিল চাপড়ান অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ড. আব্দুল কাদের। এরপর বলেন, গুচ্ছে কেন থাকবে না। এর কারণ লিখিতভাবে রেজুলেশন আকারে দেওয়া হোক। ওইসময় সভার প্রায় সব শিক্ষক হট্টগোল শুরু করেন। এরপর কিছু সিনিয়র অধ্যাপক আব্দুল কাদেরকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তাকে জোর করে চেয়ারে বসিয়ে দেন তারা। এসময় তাদের মাঝে ধাক্কাধাক্কির ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. আব্দুল কাদের বলেন, আমরা সবার সম্মতি নিয়েই গুচ্ছে এসেছিলাম। কিন্তু এখন আমরা কোন কোন কারণে গুচ্ছ থেকে বের হবো তা লিখিতভাবে সভার রেজুলেশনে যুক্ত করতে বলেছিলাম। গুচ্ছ থেকে বের হলাম- শুধু এটুকু লিখলেই তো বের হওয়া যায় না।
তিনি বলেন, আমি এ কথা বলার সময় সংসদের মতো টেবিল চাপড়ালে কয়েকজন শিক্ষক আমার দিকে তেড়ে আসেন। একপর্যায়ে তারা আমাকে শারীরিকভাবেও হেনস্তা করেন।
এ বিষয়ে জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ কে এম লুৎফর রহমান বলেন, এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষকদের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে গুচ্ছ থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেখানে অধ্যাপক আব্দুল কাদের গুচ্ছের পক্ষ নিয়ে সব সিনিয়র শিক্ষকের সামনে টেবিল চাপড়িয়ে খুবই উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তখন কয়েকজন শিক্ষক তাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। এর বাইরে কিছু হয়নি।
এদিকে ভর্তি পরীক্ষার জন্য একটি কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে উপাচার্যকে আহ্বায়ক, রেজিস্ট্রারকে সদস্য সচিব ও কোষাধ্যক্ষসহ অনুষদভুক্ত ডিনদের সদস্য করা হয়েছে। এছাড়া ইউনিটভিত্তিক পরীক্ষার জন্য আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর আগে, বুধবার (৩ এপ্রিল) গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষার জন্য মানববন্ধন শেষে উপাচার্যের কক্ষে অবস্থান নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিসহ দুই শতাধিক শিক্ষক।
এমএল/কেএ