হলের সিট নিয়ে আনন্দমোহন কলেজ ছাত্রলীগের ২ পক্ষের মারামারি
হলের সিট দখল নিয়ে ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচজন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে কলেজের ফজলুল হক হলে এই ঘটনা ঘটে।
হল সুপার শাহজাহান শাজু জানান, কলেজে তিনটি ছাত্র হোস্টেল রয়েছে। এর মধ্যে কলেজের পুকুরের দুই পারের দুইটি ব্লক ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় ভেঙে ফেলা হয়েছে। এতে হোস্টেলে সিট সঙ্কট সৃষ্টি হওয়ায় কলেজের কাজী নজরুল ইসলাম হল ও ভাষা সৈনিক আবু সালেহ হলের প্রতি কক্ষে ৫ জন করে ছাত্র থাকেন। তবুও সিটের সংকুলান না হওয়ায় হোস্টেল কমিটি ফজলুল হক হলের প্রতি কক্ষে ৫ জন করে ছাত্র রাখার সিদ্ধান্ত দেয়। সেই অনুযায়ী হলের সিট বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে আনন্দমোহন কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুস সাকিব ফজলুল হক হলের ২০৪ নম্বর কক্ষে উঠেন। এসব নিয়েই দুই গ্রুপের মাঝে মারামারি হয়। শুনেছি বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আনন্দমোহন ছাত্রলীগের এক পক্ষের নেতা আরহান খান ছোটন বলেন, কলেজ ছাত্রলীগের একটি পক্ষ বর্তমান অবৈধ কমিটি মেনে নেয়নি। এসব নিয়ে আহ্বায়ক কমিটির সাথে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। নতুন বছরে হোস্টেলে ৫০-৬০ টি সিট খালি হয়েছে। ওই সিটগুলো আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক শেখ সজল ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর জোর করে দখল করেছে। এই কারণে হোস্টেলে সিট সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য ফজলুল হক হলেও ৪ জনের জায়গায় ৫ জন থাকার সিদ্ধান্ত দেয় হোস্টেল। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিষয়টি মেনে না নিয়ে প্রতিবাদ করলে অবৈধ কমিটির আহ্বায়ক শেখ সজল ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ওমরের নেতৃত্বে বহিরাগতরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাধারণ ছাত্রদের ওপর হামলা করে। হামলায় মাজাহারুল ইসলাম ফয়েজ, সোহাগ আলম, তানভীর আহমেদ, নাহিদ আলম আহত হয়েছেন। মাজাহারুল ইসলাম ফয়েজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এ ব্যাপারে আনন্দমোহন কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শেখ সজল বলেন, হোস্টেল কমিটি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে ফজলুল হক হলে ৫ জন করে থাকবে। কিন্তু ছোটন ও তার ছেলেরা হোস্টেল কমিটির সিদ্ধান্ত মানছে না। এদিকে কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজমুস সাকিবকে ফজলুল হক হলের ২০৪ নম্বর রুম বরাদ্দ দেওয়া হয়। সাকিব রুমে যেতেই সোহাগ আলম, তানভীর আহমেদ, নাহিদ তাকে মারধর করে। পরে আমরা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গেলে ওরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। পরে সেখান থেকে আমরা চলে আসছি।
কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, হলের সিট নিয়ে দুই পক্ষের মারামারি হয়েছে। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে।
উবায়দুল হক/আরকে