ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে থার্টি ফার্স্ট নাইটে ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজি ফোটানো নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গত বছর থার্টি ফার্স্ট নাইটে ওড়ানো ফানুস পড়ে রাজধানীর প্রায় ১০টি স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয় এজন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ডিএমপি।

তবে ডিএমপির নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে থার্টি ফার্স্ট নাইট সামনে রেখে রাত ৯টা থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ওড়ানো হচ্ছে ফানুস।

শনিবার রাতে সরেজমিনে গিয়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় অন্তত ৫০টি ফানুস উড়াতে দেখা যায়। এতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বহিরাগতরাও অংশ নেন।

আরও পড়ুন : নিষেধাজ্ঞার পরও থার্টি ফার্স্ট নাইটে ফানুস উড়ছে ঢাকায়

তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, ক্যাম্পাসে ফানুস উড়ানোর কোনো অনুমতি নেই। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এ ফানুস উড়ানোর কারণে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা। 

এ সময় দেখা যায়, শাহবাগ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে থাকা পথশিশুরাও ফানুস বিক্রি করছে অনেকের কাছে। তবে কার অনুমতি নিয়ে তারা ফানুস বিক্রি করছে, বিষয়টি জানতে তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তারা কিছু বলতে রাজি হয়নি। 

সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মানজুর হোসেন মাহি ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই আইন ভঙ্গ করা হচ্ছে। আমার সামনেই রোকেয়া হল সংলগ্ন এলাকায় ফানুস উড়ানোর সময় একটি ফানুস বৈদ্যুতিক তারে আটকে যায়। পরে যারা ফানুস উড়াচ্ছিলো তারা ঢিল ছুড়ে সেটি নামিয়ে ফেলে। কোনো অঘটন ঘটলে এর দায়ভার কে নেবে?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, আমি নিজে উপস্থিত থেকে টিএসসি এলাকায় এ বিষয়ে অনেককে সতর্ক করে দিয়েছি। পথশিশু যারা বিক্রি করছিল তাদের সরিয়েও দিয়ে এসেছি। একটি অসাধু চক্র এ পথশিশুদের দিয়ে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে। তাদের কাজে লাগিয়ে ফানুস বিক্রি করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা নিরাপত্তা, আনন্দ, সৌন্দর্য সবকিছুর সমন্বয় করেছি। ঢাবির স্টিকার ব্যতীত অন্য গাড়িগুলো যেন আজকে ক্যাম্পাসে না আসে সেই ব্যবস্থা করেছি। তবে ইমার্জেন্সি সার্ভিসগুলো কড়াকড়ির বাইরে থাকবে।

এইচআর/এসকেডি