বহুল প্রতীক্ষিত মেট্রোরেল প্রকল্পের উদ্বোধন হওয়ায় আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে শোভাযাত্রাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ সংগঠনটির ঢাবি ও বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মী।

সমাবেশে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, মেট্রোরেল যেমন ঢাকা শহরের লাইফলাইন, ঠিক তেমনি বঙ্গবন্ধু তনয়া বাংলাদেশের লাইফলাইন। আজকে আমরা স্মার্ট যানবাহনের যুগে প্রবেশ করেছি। ২০৩০ সালের মধ্যে ৬টি মেট্রোরেল তৈরি করে শেখ হাসিনা আরেকটি বিপ্লব ঘটাবেন। মেট্রোরেলের কারণে দেশের জিডিপি বাড়বে, ঢাকা শহর বদলে যাবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিপ্লব সম্পন্ন করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা হয়েছে। ৫০ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর দেশকে ১৩ কোটি ব্যবহারকারীর দেশে ও মাত্র ৭০০ মার্কিন ডলার মাথাপিছু আয় থেকে ২৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত করা হয়েছে। এছাড়া ৪০ ভাগ বিদ্যুতায়নের দেশকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের দেশে পরিণত করে তিনি পরবর্তী লক্ষ্য হিসেবে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্ধারণ করেছেন। আগামী দিনে আমরা যদি বঙ্গবন্ধু কন্যার ঐতিহাসিক বিজয় নিশ্চিত করতে পারি তাহলে আরও অনেক অসীম সোনালী ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য অপেক্ষা করছে।

এদিকে বিএনপির ডাকা আগামীকালের (শুক্রবার) গণমিছিলে কোনো অস্থিরতা তৈরি করা হলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। 

তিনি বলেন, এই মেট্রোরেলের উদ্বোধন অপশক্তির বুকে জ্বালা দেয়। আগামীকাল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দিন। এর আগে আজকে আমরা মেট্রোরেল উদ্বোধন করে আনন্দ শোভাযাত্রা করছি। কিন্তু ওরা আগামীকালকে ঢাকা শহরে নৈরাজ্যের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ওরা আগামীকাল নাকি ঢাকা শহরে গণমিছিল করবে। কিন্তু গণমিছিলের নামে যদি গণহয়রানির চেষ্টা করা হয়, তাহলে এর দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। যে হাত আগামীকাল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে, সেই হাত ঢাকা শহরের মানুষ ভেঙে ফেলবে।

এইচআর/কেএ