দ্যুতি ছড়াচ্ছেন জবির ৩ নারী বিতার্কিক
পড়ালেখার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দেশের অধিকাংশ সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতর্কের সংগঠন রয়েছে। এসব সংগঠনে যুক্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা নিজেদের সমৃদ্ধ করে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিবেদন করেন। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নারীরা বিতর্ক অঙ্গনে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের পাশাপাশি সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে অর্জন করছেন বিজয়ীর খেতাব।
নারী দিবস উপলক্ষে সম্প্রতি এম আর শাইনিং থটস ডিবেট ইউনিয়নের ( এমআরএসটিডিইউ) উদ্যোগে ‘ওপেন নারী দিবস বির্তক প্রতিযোগিতা ২০২১’ এর আয়োজন করা হয়। অনলাইনে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০টি দল অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া অধিকাংশ বিতার্কিকই ছিলেন নারী। তাদের উপস্থাপনা, কথা বলার ঢং মুগ্ধ করে বিচারকদের।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে নিয়ে ডট খেতাব অর্জনকারী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১৩তম ব্যাচ ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিতার্কিক রাফিয়া রহমান বলেন, ‘২০১৮ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির (জেএনইউডিএস) মাধ্যমে আমার বিতর্কের সঙ্গে পথচলা শুরু। জেএনইউডিএসে আসার আগে যেহেতু বিতর্ক নিয়ে কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না তাই শুরু থেকেই শিখতে হয়েছে। আমার বিতার্কিক হয়ে উঠার পেছনে প্রতিটি ধাপে অনেকের অবদান রয়েছে। ২০১৯ সালে ইসলামিক স্টাডিজ ডিবেটিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে বিতর্কের সঙ্গে সাংগঠনিকভাবে হাতেখড়ি হয়। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার সুবাধে নতুন নতুন সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। বিতর্কে পরপর দুটি সেমি ব্রেক করার পরে এইবার নারী বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০২১ এ সানজিদা জামান চৌধুরি ও সাজিয়া ইফফাতকে সঙ্গে নিয়ে টিম 3rd Wave এর সর্বোচ্চ নাম্বার নিয়ে টিমব্রেক, একইসঙ্গে নিজের টপ স্পিকার ব্রেক পাওয়ার অভিজ্ঞতা সত্যিই অসাধারণ।
বিতর্ক নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সানজিদা জামান চৌধুরী ঢাকা পোস্ট কে বলেন, স্কুলজীবন থেকে বিতর্ক চর্চা শুরু করি। বিটিভির বিতর্ক অনুষ্ঠান ও স্কুল-কলেজের বিতর্ক উৎসব থেকেই বিতর্কের প্রতি ভালো লাগা কাজ করে। কথায়-কথায় লড়াই, নিজের যুক্তিকে প্রতিষ্ঠা করার বিষয়টা সত্যিই মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করতাম। বিতর্ক নিয়মিত চর্চার ব্যাপার। একটা ফেস্টে অংশ নিতে দীর্ঘ দিন সময় দিতে হয়। তবে দিনশেষে একটু সাফল্যের মুখ দেখলেই সব কষ্টগুলো হার মানে।
বিতর্ক পুরোটাই দলীয় কাজ, দলের সবার অবদানের জন্যই ব্যক্তিগত অর্জনগুলোও সম্ভবপর হয়। তাই দলের সবার প্রতি এবং জেএনইউডিএসের প্রতি কৃতজ্ঞতা। একজন নারী হিসেবে নারী দিবস উপলক্ষে কোনো কিছুতে অংশগ্রহণ এবং সাফল্য লাভ অবশ্যই গর্বের ব্যাপার। ভবিষ্যতেও এ সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য সকলের দোয়া কামনা করি।
বিতর্ক অঙ্গনে যুক্ত হওয়া নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সুস্মিতা বণিক বলেন, ‘বির্তকের সঙ্গে পথচলা শুরু হয় ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে। তখন থেকেই বির্তক একটি ভালোবাসার নাম। বির্তকের সঙ্গে পথচলাটা সবসময় মসৃণ ছিল না কিন্তু সাফল্য ছিল। একজন নারী বিতার্কিক হিসেবে অনেক প্রতিকূলতা ডিঙিয়েও আসতে হয়েছে।
এমটি/এসকেডি