সমাবর্তন উপলক্ষে গ্র্যাজুয়েটদের দেওয়া টাইয়ে '53rd' স্থলে '53th' লেখা ভুলকে অপ্রত্যাশিত এবং সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে ঢাবির ৫৩তম সমাবর্তন উপলক্ষে অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, আসলে এটি একটি অপ্রত্যাশিত ভুল। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কখনো কাম্য হতে পারে না। ভুলের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জিরো টলারেন্স। আমরা এটা জানার সঙ্গে সঙ্গেই কর্তৃপক্ষের কাছে জবাব চেয়েছি। এটি যারা তৈরি করেছে তাদের প্রিন্টে ভুল হয়েছে। আমরা তাদের জরিমানা করা হবে বলে জানিয়েছি। এই উপহার বিদেশিদের কিংবা অতিথিদের দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানহানী হবে। মেহমানদের জন্য নতুন করে তৈরি করে দিতে বলেছি তাদের।

নিষিদ্ধ পলিব্যাগে সমাবর্তনের গাউন দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসেই সাতটি স্পটে গাউন দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে আমরা জানার পর খোঁজ নিয়ে দেখেছি দুটি স্পটে পলিব্যাগে গাউন সরবরাহ করা হয়েছে। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। এছাড়াও বিভিন্ন পরিবেশ দিবসে আমরা এর ব্যবহার না করার জন্য বলি। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় এটি খুবই অগ্রহণযোগ্য কাজ। আমরা তাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছি যেন টিস্যু ব্যাগে তা দেওয়া হয় এবং সেটি তারা করছে।

অধিভুক্ত সাত কলেজের গ্রাজুয়েটদের ডিজিটাল স্ক্রিনে সমাবর্তন নিতে আপত্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি চ্যান্সেলর যেভাবে নির্দেশনা ও সম্মতি দেন, সেভাবেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজন করবে। বিষয়টা পুরোপুরি চ্যান্সেলরের ওপর নির্ভর করে।

অনুষ্ঠান সফল করতে সবার সহযোগিতা কামনা করে উপাচার্য বলেন, ঢাবি ও তার আশেপাশে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ চলমান থাকায় গ্র্যাজুয়েট এবং অতিথিদের চলাচলে কিছুটা বিঘ্ন ঘটবে বলে আমরা দুঃখিত। তাই সমাবর্তন অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সব সদস্য, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, র্যাব, অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ফায়ার সার্ভিস, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং গণমাধ্যমকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সদয় সহযোগিতা কামনা করছি।

এইচআর/জেডএস