শরীরে ধাক্কা লাগায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি জসীমউদ্দিন হলের এক শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন খলিফার (ওয়ালিউল সুমন) বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে হলের নিচ তলার দক্ষিণ ব্লকের পত্রিকা রুমের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হাবিবুল্লাহ হাবীব বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষার্থী জানান, হলের পত্রিকা রুম আর হল সংসদের রুম পাশাপাশি অবস্থিত। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হাবীবুল্লাহ পত্রিকা রুমে প্রবেশ করার সময় হল সংসদ থেকে বের হওয়া সুমন খলিফার সঙ্গে তার ধাক্কা লাগে। এসময় সুমন খলিফা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং তাকে মারতে উদ্ধত হন। তার সঙ্গে থাকা হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান তাকে থামান। এসময় সুমন খলিফা হাবীবুল্লাহকে হল থেকে বের হয়ে যেতে বলেন।

জানা যায়, হাবীবুল্লাহ বিকেল পর্যন্ত হলে অবস্থান করলেও সন্ধ্যার দিকে সুমন তার (হাবীবুল্লাহর) রুমে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীকে পাঠায়। তারা হাবিবুল্লাহকে রুম থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য শাসান। পরে হাবীবুল্লাহ হল থেকে বের হয়ে যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হাবিবুল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, অনিচ্ছাকৃতভাবে সুমন ভাইয়ের সঙ্গে ধাক্কা লেগে যায়। আমি উনাকে বিষয়টা বুঝিয়ে বলি, সাধারণ সম্পাদক লুৎফর ভাইও সুমন ভাইকে বুঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু উনি আমার সঙ্গে প্রচণ্ড রাগারাগি করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। পরে আমাকে হল থেকে বের হয়ে যেতে বলে। আমি হল থেকে বের হয়ে গেছি। এত অপমান সহ্য করে হলে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব না।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত সুমন খলিফা ঢাকা পোস্টকে বলেন, সে ইচ্ছে করেই ধাক্কা দিয়েছে। এই ছেলের বিরুদ্ধে সব শিক্ষার্থীর অভিযোগ। কোনো ধরনের নিয়মকানুন মেনে হলে থাকে না সে। তাই একটু রাগারাগি করছি। কিন্তু তাকে আমি পরে ডেকে বলছি হলে থাকতে। হল থেকে বের হয়ে যেতে বলিনি। আমি এখন আবার তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী, হলের নিয়ম কানুন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব হল প্রশাসনের ছাত্রলীগের না। তবে এ বিষয়ে জানতে হল প্রাধ্যক্ষ মো. আবদুর রশিদকে কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

এইচআর/এমএ