লাশ হয়ে ক্যাম্পাসে ফিরলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে তার মরদেহ ক্যাম্পাসে নিয়ে আসা হয় এবং বুয়েটের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজায় বুয়েটের ছাত্র-শিক্ষক এবং ফারদিনের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে তিনদিন নিখোঁজ থাকার পর তার মরদেহ সোমবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

আরও পড়ুন>> ‘পরিকল্পিত হত্যা’ নাকি অন্য কারণ : তদন্তে মাঠে পুলিশ-র‌্যাব

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিনি গত ৪ নভেম্বর (শুক্রবার) বিকেল তিনটার দিকে বুয়েটের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। ৫ নভেম্বর (শনিবার) সকাল ১০টায় পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ডিপার্টমেন্টের পরীক্ষায়ও অংশ নেননি তিনি। তার বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার নয়ামাটি গ্রামে। বর্তমানে তারা রাজধানীর ডেমরার শান্তিবাগের ১৩/১২ নম্বর বাসায় থাকতেন।

ফারদিনের বাবা কাজী নুর উদ্দিন বলেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে আমার ছেলেকে কেউ হত্যা করে থাকতে পারে। তার মরদেহ পচে ফুলে গেছে। আমার ধারণা, তাকে শুক্রবার হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। তার ব্যবহৃত ফোন, ঘড়ি ও মানিব্যাগ সঙ্গেই পাওয়া গেছে। আমি এই ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত উপযুক্ত বিচারের দাবি জানাই।

বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, সে শনিবার পরীক্ষায় বসার কথা ছিল, কিন্তু পরীক্ষা দেয়নি। তারপরই আমরা পরিবারের সঙ্গে কথা বলি এবং বিভিন্ন থানায় বিষয়টি জানিয়ে রাখি। বুয়েট পরিবারের জন্য এটা খুবই মর্মান্তিক একটা ঘটনা। প্রকৃত ঘটনা আমরা এখনো জানি না, পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।

ফারদিনের সহপাঠী ফয়সাল আহমেদ বলেন, আমাদের বন্ধু ফারদিন খুবই মেধাবী এবং মিশুক ছেলে ছিলো। সবার সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক ছিল। আগামী মাসে স্পেনের মাদ্রিদে একটি ডিবেটিং অনুষ্ঠানে তার অংশ নেওয়ার কথা ছিল। তার মৃত্যু আমরা কেউ মেনে নিতে পারছি না। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।

এইচআর/জেডএস