ঢাকা কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর সমাপনী অনুষ্ঠান
দীর্ঘ শিক্ষাজীবনের ইতি টানছেন ঢাকা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। দিনভর বর্ণাঢ্য নানা আয়োজন, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা ও অনাগত ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানানোর মধ্য দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মিলনমেলার মাধ্যমে এসব শিক্ষার্থীদের বিদায় জানানো হয়।
রোববার (৬ নভেম্বর) কলেজের লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল একাডেমিক ভবনে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সেমিনার কক্ষে স্নাতকোত্তর সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শিরীন আক্তার ইয়াসমীন, ড. মুক্তা সাহা, সহকারী অধ্যাপক তানিমা ইসলাম, প্রভাষক পল্লবী বাড়ৈ ও নওশিন তাসীন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধরে রাখতে বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসতে হবে। এই সমাজ ব্যবস্থার রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে দুর্নীতি ও অন্যায়-অবিচার বাসা বেঁধেছে তা থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। তাই এই সমাজ ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে তোমাদের এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষাজীবন শেষ করার পর কর্মজীবনে নিজের ন্যায়-নীতি দক্ষতা বজায় রেখে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আর কোনো অবস্থাতেই হতাশ হলে চলবে না। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নানান বাধা-বিপর্যয় পেরিয়ে ভুল-ভ্রান্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন উদ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। এছাড়াও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সকল দার্শনিকদের দর্শনকে সামনে রেখে নিজেরা আগামীর জীবসত্তাকেই পরিচালনা করতে শিক্ষার্থীদের আহ্বানও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য শিক্ষকরাও তাদের বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন।
শিক্ষাজীবনের শেষপ্রান্তে বিভাগের সর্বশেষ ক্লাসে শিক্ষার্থীরাও ছিলেন অনেকটা আবেগপ্রবণ। আবু সুফিয়ান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের শিক্ষাজীবন শেষ হচ্ছে। আজকের পর থেকে এমন করে ক্যাম্পাসে বা বিভাগে আর ফেরা হবে না। জীবন-জীবিকার তাগিদে আলাদা হয়ে যাবো। তবে বন্ধুদের সারাজীবন মনে রাখবো। সেশনজট, অধিভুক্তির সমস্যা এবং করোনাসহ নানা জটিলতায় আমাদের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষাজীবন অনেক দীর্ঘ হয়েছে। তবুও সময়টা বেশ উপভোগ করেছি।
কামরুজ্জামান রুবেল নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ২০১৬ সালে কলেজে স্নাতকে ভর্তি হয়েছিলাম। এখন পর্যন্ত প্রায় সাত বছরের শিক্ষাজীবনে কলেজে অসংখ্য মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আজকের এই ক্লাসটিই আমাদের শেষ ক্লাস। অনেক বেশি মিস করবো বিভাগ, ক্লাস ও কলেজের বন্ধুদের। সবাই ভালো থাকুক এই প্রত্যাশা করছি।
আরএইচটি/কেএ