বর্ণিল সাজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১০১ পেরিয়ে ১০২ বছরে পদার্পণ করবে দেশসেরা বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য– ‘গবেষণা ও উদ্ভাবন : ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা’।
দিবসটি উপলক্ষে ঢাবি ক্যাম্পাস সেজেছে বর্ণিল সাজে। বিশেষ এই দিনটি ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবন, কার্জন হল, কলা ভবন ও ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি), প্রশাসনিক ভবনসহ কয়েকটি ভবন লাল, সবুজ, নীল রঙের বাতির আলোয় সাজানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
শতবর্ষের ন্যায় অনেক বেশি আলো না ছড়ালেও যা আছে, তাই উপভোগ করছেন শিক্ষার্থীরা। বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আসলে ভালো লাগা অনেকগুণ বেড়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং সংকট-সমাধান নিয়ে আলোচনা হয়। ক্যাম্পাসের বর্ণিল সাজ মুগ্ধতা ছড়ায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, ক্যাম্পাসের এই দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছে যেন নববধূর সাজে বসে আছে প্রিয় শিক্ষাঙ্গন, প্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রাচীন এই বিদ্যাপীঠের অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত। পৃথিবীর সূর্যাস্ত পর্যন্ত সত্য, সুন্দর আর সমৃদ্ধির বাতি জ্বালিয়ে রাখুক আমাদের বিদ্যাপীঠ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রাব্বানী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে প্রতিবারের মতো এবারও ক্যাম্পাস সাজানো হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার সহযোগিতা পেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আরও অনেক বেশি এগিয়ে যাবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
দিবসটি উপলক্ষে ঢাবির কর্মসূচি
শুক্রবার (১ জুলাই) সকাল ১০টার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল ও হোস্টেল থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা শোভাযাত্রা সহকারে শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের খেলার মাঠে সমবেত হবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও হলগুলোর পতাকা উত্তোলন, পায়রা উড়ানো, কেক কাটা এবং সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে থিম সং পরিবেশিত হবে।
সকাল ১১টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘গবেষণা ও উদ্ভাবন : ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আলোচনা সভায় অংশ নেবেন।
এইচআর/এমএইচএস