পদ্মা সেতু সপ্তম আশ্চর্যের এক আশ্চর্য হওয়া উচিত : বুয়েট ভিসি
পদ্মা সেতু সপ্তম আশ্চর্যের এক আশ্চর্য হওয়া উচিত বলে মনে করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার।
মঙ্গলবার (২১ জুন) বিকেলে বুয়েটের কাউন্সিল ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তর আয়োজিত ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে বুয়েটের ভূমিকা’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
বুয়েট ভিসি বলেন, পদ্মা নদীর আসল রূপ অনেকে দেখেনি, আমি দেখেছি। বাংলাদেশের নদী আর বিদেশের নদী এক নয়। বিদেশি কনসালটেন্টরা এখানে এসে কাজ করতে পারবে না। তারা যে নদী দেখেছে সে নদী আর পদ্মা নদীর প্রেক্ষাপট এক নয়। তারা কল্পনাও করতে পারবে না পদ্মা নদী কি জিনিস!
তিনি বলেন, প্রমত্তা পদ্মার ওপর ব্রিজ করার সাহস যাদের আছে তাদের ধন্যবাদ দিতেই হবে। আমি মনে করি, সাত আশ্চর্যের এক আশ্চর্য হওয়া উচিত এই পদ্মা সেতু।
প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করে অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে চলেছেন। যা কিছু হোক চ্যালেঞ্জিং চ্যালেঞ্জ করব। তিনি চ্যালেঞ্জ করেই এগিয়ে যাচ্ছেন। ঝড়-ঝাপটা যাই আসুক না কেন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই ভূমিকার জন্যই আজ পদ্মা সেতু বাস্তব রূপ পেয়েছে। উনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ এক দিন সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে যাবে উল্লেখ করে বুয়েট উপাচার্য বলেন, আমাকে একদিন আমেরিকার এক বিজ্ঞানী বলেছিলেন, ঢাকা একদিন নিউইয়র্কের মতো হবে, নিউইয়র্কের চেয়ে বেশি ব্যয়বহুল হবে এবং ঢাকা শহর একদিন সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে যাবে। এখন আমি দেখছি আসলেই ঢাকা শহর ব্যয়বহুল হচ্ছে। আর ঢাকার যে উন্নয়ন হচ্ছে তা সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে যাবে এবং ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বুয়েট সবসময় অবদান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপাচার্য।
ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খাঁন, আলোচক হিসেবে ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত।
এইচআর/এসকেডি