ছাত্র ফ্রন্টের নেতাদের ওপর ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ইডেন কলেজ শাখার নেতাকর্মীদের ওপর একই হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২০ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে ইডেন কলেজের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ছাত্র ফ্রন্টের ইডেন কলেজ শাখার সভাপতি সায়মা আফরোজ, সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর সুমিসহ বেশ কয়েকজন আহত হন বলে অভিযোগ তাদের।
বিজ্ঞাপন
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, অবিলম্বে ৮টি রুটে বাস সার্ভিস চালু করা, হলের ক্যান্টিনের খাবারের মান উন্নয়নসহ চার দফা দাবি নিয়ে গত মাস থেকেই বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছিল ইডেন কলেজ শাখা ছাত্র ফ্রন্ট। তারই অংশ হিসেবে আজ সকালে মিছিল ও সমাবেশ শেষে ইডেন কলেজের প্রাধ্যক্ষের নিকট চার দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য স্মারকলিপি দেন তারা। স্মারকলিপি দেওয়া শেষে ছাত্র ফ্রন্টের বসার জায়গায় (কড়ইতলা) তারা গিয়ে বসার সঙ্গে সঙ্গেই ছাত্রলীগের ওই হল শাখার নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়।
এই হামলায় ভুক্তভোগী ইডেন কলেজ শাখা ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর সুমি বলেন, আমরা অবিলম্বে ৮টি রুটে বাস সার্ভিস চালু করাসহ ৪ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিয়ে আমাদের বসার জায়গায় বসার দশ মিনিট পরেই তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমাদের লাঞ্ছিত করে, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে, সভাপতির ফোন কেড়ে নেয়। এ ঘটনায় আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমরা এই হামলার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
তিনি আরও বলেন, এ হামলার নেতৃত্বে ছিলেন ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানা, সহ-সভাপতি সুস্মিতা, রোকসানা প্রমুখ। অবিলম্বে হামলাকারীদের শাস্তির আওতায় এনে ক্যাম্পাসের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
এ দিকে হামলার বিষয়ে মন্তব্য জানতে ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, তারা ছাত্র ফ্রন্ট কি না সেটা আমরা জানি না। আমরা দেখলাম ক্যাম্পাসের ভেতরে এসে কিছু মেয়ে টাকা তুলছে আর কিছু ছেলে গেটে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা তাদের জিজ্ঞাসা করলাম আপনারা কিসের টাকা তুলছেন, প্রশাসনের অনুমতি নিয়েছেন। দেখলাম তারা কোনো অনুমতি না নিয়ে ক্যাম্পাস ও হলে টাকা তুলছে। পরে আমরা অধ্যক্ষ ম্যাডামকে বিষয়টি জানাই।
হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমরা জাস্ট তাদের জিজ্ঞেস করেছি এবং ম্যাডামকে তাদের বিষয়টি জানিয়েছি। এর বেশি কিছু নয়, আমরা তাদের কোনো ধরণের হামলা করিনি। আমরা তাদের ব্যানার ছিঁড়িনি, ফোনও কেড়ে নিইনি।
এইচআর/আইএসএইচ