বাণিজ্য অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে আজ শুক্রবার (৩ জুন) শুরু হয়েছে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা। বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাতটি বিভাগীয় পর্যায়ের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে বেশির ভাগ সময় বিড়ম্বনায় পড়েন শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষার নির্ধারিত স্থান খুঁজে পেতে দুর্ভোগে পড়তে হতো অনেক ক্ষেত্রে। বিষয়টি মাথায় রেখে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের তথ্য সহায়তা, দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতার জন্য প্রতি বছরের মতো এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে বসেছে ‘হেল্প ডেস্ক।’

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন, কার্জন হল, টিএসসি, লাইব্রেরি চত্বর, সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদ, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও জেলা সংগঠনগুলো হেল্প ডেস্ক বসিয়ে সহযোগিতা করছে শিক্ষার্থীদের।

ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে ছাত্রলীগ, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়ন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশনের হেল্প ডেস্ক দেখা যায়।

সহযোগিতার মধ্যে রয়েছে— প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ, স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন করা, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ, চলাচলের সুবিধার্থে বাইক সার্ভিস, কলম ও আনুষঙ্গিক শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, সুপেয় খাবার পানির ব্যবস্থা, শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত অথচ পরীক্ষা কেন্দ্রে বহন অনুপযোগী জিনিসপত্র রাখার ব্যবস্থা, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য হুইল চেয়ার ও প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সরবরাহ, অভিভাবকদের বিশ্রামের ব্যবস্থা, তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা প্রদানে মেডিকেল ক্যাম্প ইত্যাদি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে এসে বিপদে পড়েন অনেক শিক্ষার্থী। তাদের যাতে কোনো সমস্যায় পড়তে না হয়, সে জন্য সহযোগিতা করতে হেল্প ডেস্ক বসিয়েছেন তারা। এদিকে স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতা পেয়ে খুশি পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এসব সেবায় বিড়ম্বনা কমেছে বলে মনে করছেন তারা।

হেল্প ডেস্কে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদি হাসান শান্ত ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঢাবি ছাত্রলীগের নির্দেশনায় আমরা অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ডেস্ক বসিয়েছি। মূল কেন্দ্রে হওয়ায় অনেকেই আমাদের থেকে সেবা নিয়েছে। ভর্তিচ্ছুদের মধ্যে মাস্ক, কলম ও আনুষঙ্গিক শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেছি। সব পরীক্ষায় আমরা এ সেবা দিয়ে যাব।

সাভার থেকে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান বলেন, ঢাকা বিভাগে বাড়ি হওয়া সত্ত্বেও ঢাবিতে আগে আসা হয়নি। তাই কিছুটা সমস্যায় পড়ব ভেবেছিলাম। তবে এখানের ভাইয়া-আপুদের সহযোগিতায় সবকিছু সহজ হয়েছে। যেসব তথ্য জানার ছিল হেল্প ডেস্ক থেকে জেনে নিয়েছি। এমন সহযোগিতা পাওয়া আমাদের জন্য ভাগ্যের।

এইচআর/এসএসএইচ