চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের একাংশের ডাকা অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। তবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। এর আগে চবি ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরে অভিযুক্ত মো. হানিফকে পুলিশ হেফাজতে নেয় হাটহাজারী থানা পুলিশ।

বুধবার (১ জুন) দুপুর ২টায় ছাত্রলীগের ভিএক্স গ্রুপের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় অবরোধ স্থগিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, আমার নেতা আ জ ম নাছির উদ্দীন আমাকে ফোন দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেই নির্দেশনা দিয়েছেন। নাছির ভাইয়ের নির্দেশ এবং শিক্ষার্থীদের কাল্যাণে আমরা অবরোধ স্থগিত করেছি। আমরা দোষীদের গ্রেপ্তার করতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি। এর মধ্যে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। বাকিদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার না করলে আমরা আবারও আন্দোলনে যাব।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া ও হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, সব কিছু এখন স্বাভাবিক। বিকেল ৪টা থেকে নির্ধারিত শিডিউলে শাটল ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। আগামীকাল থেকে যথারীতি ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে বুধবার (১ জুন) সকাল থেকে ছাত্রলীগের একাংশ ভিএক্স গ্রুপের দুই নেতাকে মারধরের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবরোধের ডাক দেয়। বন্ধ থাকে শাটল ট্রেনও। আন্দোলনকারীদের বাধার মুখে সকাল থেকে ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষকদের কোনো বাস শহরে যেতে পারেনি। এতে পূর্ব নির্ধারিত ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত করে বিভিন্ন বিভাগ।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৩১ মে) দিবাগত রাত ১টার দিকে ছাত্রলীগের ভিএক্স গ্রুপের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় ও মোহাম্মদ রাশেদ এক নম্বর গেট থেকে মোটরসাইকেল যোগে ক্যাম্পাসে আসেন। পথে মাজার গেট এলাকায় স্থানীয় যুবলীগ নেতা হানিফের অনুসারী কয়েকজন কর্মী দেশীয় অস্ত্রসহ মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তাদের মারধর করেন। ভাঙচুর করা হয় মোটরসাইকেলও। পরে এ ঘটনার প্রতিবাদে ভিএক্স গ্রুপের অনুসারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে ক্যাম্পাস অবরুদ্ধ করে রাখে।

রুমান/আরএআর