প্রথমবারের মতো টেক জায়ান্ট গুগলে নিয়োগ পেলেন রাবি শিক্ষার্থী
প্রথমবারের মতো টেক জায়ান্ট গুগলে নিয়োগ পেলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ। প্রতিষ্ঠানটির আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে অফিসে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি।
সেখানে তিনি গুগলের এসআরই বিভাগে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিয়োগের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সুব্রত প্রমাণিক বলেন, মঙ্গলবার (২৪ মে) গুগল ডাবলিন থেকে তাকে নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে জয়েনিংয়ের তারিখটা এখনো জানা যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শাকিল রাবির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২৩তম ব্যাচ বা ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী। চাঁদপুরের মতলবে উপজেলার জমিলা খাতুন উচ্চবিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও সরকারি বিজ্ঞান কলেজ ঢাকা থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন।
স্নাতক শেষ করে ২০১৯ সালে ইনোসিস সলিউশনস নামের একটি সফটওয়্যার কোম্পানির সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন।
এ বিষয়ে বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. শামীম আহমদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা এক পোস্টে লিখেছেন, আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় গবেষণা করেছে এবং করছে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আইটি এক্সপার্ট, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত রয়েছে। উদ্যোক্তা হিসেবেও আমাদের অনেক শিক্ষার্থীর সাফল্যের গল্প আজ দেশ-বিদেশে সমাদৃত। তারপরও একটা অপূর্ণতা ছিলই।
মাত্র দুই বছর আগে আমাদের বিভাগ থেকে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট শেষ করে শাকিল সেই অপূর্ণ স্বপ্ন পূরণ করেছে। বিভাগ থেকে তো বটেই, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই প্রথমবারের মতো ওয়ার্ল্ড টেক জায়ান্ট গুগলে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে শাকিল নিয়োগ পেয়েছে।
শাকিলকে শুধু সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে দেখতে চান না জানিয়ে তিনি আরও লিখেছেন, আমার ব্যক্তিগতভাবে অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল, আমার ছাত্র-ছাত্রীরা গুললে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করবে। একটা স্বপ্নপূরণ আরেকটা স্বপ্নের জন্ম দেয়। এখন আমি তোমাদের ‘শুধুমাত্র’ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে দেখতে চাই না।
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সুব্রত প্রামাণিক বলেন, শাকিল আমাদের বিভাগ থেকে সম্প্রতি পাস করা শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই অনুপ্রেরণাকারী। আমাদের শিক্ষার্থীরা আইবিএম, জেনারেল মোটর্সের মতো প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে। কিন্তু গুগলে এটাই প্রথম। এ ধরনের অর্জন বর্তমান শিক্ষার্থীদের এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।
মেশকাত মিশু/এনএ