ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান সজীবকে ছাত্রলীগ নেতা অতনু বর্মণের মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮  শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত প্রশাসনিক, সাংগঠনিক ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের হাতে বিচার চাই বিচার চাই অতনু বর্মণের বিচার চাই; সজীবের ওপর হামলা কেন? বিচার চাই; দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই; হামলাকারী অতনু বর্মণের বিচার চাই ইত্যাদি লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী মিয়া বলেন, একজন ছাত্র নেতা কেন বানানো হয়? ছাত্রদের অধিকার নিয়ে কথা বলবে; ছাত্রদের পক্ষে কথা বলবে। তিনি যে কাজটি করেছেন আমরা ছাত্রসমাজ তার কাছে অনিরাপদ হয়ে গেলাম। অতনু বর্মণের মতো যারা ছাত্রসমাজের শত্রু তারাই দেশের শত্রু, সমাজের শত্রু।

ভুক্তভোগী সজীবের বিভাগের বন্ধু নাজমুল আলম বলেন, এখানে দুর্বলের ওপর সবলের আঘাত করা হয়েছে। আমরা একজন নেতার আগ্রাসী মনোভাব দেখেছি। সজীব খুবই শান্তশিষ্ট ভদ্র একটি ছেলে। ও কোনদিন কারো সঙ্গে কোনো ঝামেলায় জড়ায়নি। তার ওপর হামলা মেনে নেওয়া যায় না।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এনামুল বলেন, একটি স্বায়ত্তশাসিত ক্যাম্পাসে একজন ছাত্রনেতা দ্বারা এ রকম হামলা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা সবাই ক্যাম্পাসে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে চাই। হামলার শিকার যাতে না হই। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অতি দ্রুত বিচার দাবি করছি। বিচার না হলে কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে।

গেল শুক্রবার রাত সোয়া ১১টার দিকে ফুলার রোডের উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে বাইকে মোড় ঘোরাকে কেন্দ্র করে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে অতনু বর্মণের নেতৃত্বে বিশ জনের মতো ছাত্রলীগের কর্মী ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ জানান সজীব। যদিও অভিযুক্ত অতনু বর্মণ মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের অনুসারী।

এইচআর/আরএইচ