চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের আবারও মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় জোবরা গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে। এতে অন্তত চারজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা দিয়েছে ছাত্রলীগের একাধিক গ্রুপ। বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলক্রসিং এলাকায় এ ঘটনার সূত্রপাত হয়।

ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জানান, সমাজতত্ত্ব বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন মোটরসাইকেল নিয়ে ১ নম্বর রেলক্রসিং যান। এসময় এক সিএনজির সঙ্গে আরাফাতের মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। ওই চালককে সাবধানে সিএনজি চালাতে বললে চালকদের সঙ্গে আরাফাতের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সিএনজি চালক আরাফাতকে মারধর করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিকেল ৫টার দিকে চবির জিরো পয়েন্ট ফটকে তালা দেন ছাত্রলীগের উপ-গ্রুপ সিএফসির কর্মীরা। এ সময় রেলক্রসিং এলাকা থেকে একটি সিএনজি জব্দ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে আসে ছাত্রলীগ কর্মীরা। পরে রেলক্রসিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রকে মারধর ও এক ছাত্রের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে সিএনজি চালকরা।

ছাত্রলীগ নেতা সাদাফ খান বলেন, সিএনজি অটোরিকশার চালকরা প্রায় সময় ছাত্রদের মারধর করছে। প্রশাসন নির্বিকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটা জায়গায় সিএনজি চালকদের দ্বারা ছাত্রদের মারধর লজ্জাজনক। অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত আমরা প্রধান ফটক অবরোধ করে রাখব।

স্থানীয়দের মারধরের শিকার শিক্ষার্থী তামিম আহমেদ শরীফ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কিনা জিজ্ঞেস করার পর, রেল ক্রসিং এলাকায় আমাকে স্থানীয় বেশ কয়েকজন বিনা কারণে মারধর করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. শহিদুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন ধরে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। এর আগে একজনকে আমরা পুলিশে দিয়েছি। আজকেও আবার একই ঘটনা। বিষয়টি আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি।

এর আগে গত ১১ এপ্রিল ভাড়া নিয়ে বিতর্কের জের ধরে সিএনজি চালক কর্তৃক মারধরের শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় সিএনজি মালিককে পুলিশে দেয় প্রশাসন। প্রতিবাদে ১২ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএনজি চলাচল বন্ধ করে রাখেন তারা।

আরএইচ/এসকেডি