আনারস মার্কায় ভোট দিবি

শরিফ মিয়া আনারস মার্কা নিয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। আর জলিলের মার্কা ছাতা। একদিন রাস্তায় কথা হচ্ছিল তাঁদের-

শরিফ : বুঝলা জলিল, ভোটে কিন্তু আমিই পাস করব। কেন জানো? আমার দলের কর্মীরা যখন রিকশায় ওঠে রিকশাঅলার খোঁজখবর নেয়। রিকশা থেকে নামার সময় তাকে ১০ টাকা বকশিশ দেয়। আর বলে, ‘ভাই, ভোটটা কিন্তু আনারস মার্কায়ই দিয়েন।’

জলিল : না রে শরিফ, ভোটে আমিই জিতব। কারণ, আমার লোকেরা রিকশায় উঠেই রিকশাঅলাকে গালিগালাজ করে। রিকশা থেকে নামার সময় ১০ টাকা কম দেয়। আর বলে, ‘ওই ব্যাটা, ভোটটা কিন্তু আনারস মার্কায় দিবি।’

****

তোমারেও কথা দিলাম

এক নেতা ভোট চাইতে ভোটারের কাছে গেছেন-

নেতা : চাচা, কথা দেন, ভোটটা আমারেই দিবেন।

ভোটার : কিন্তু ভাতিজা, আমি যে আরেকজনকে ভোট দেব বলে কথা দিয়ে ফেলছি।

নেতা : তাতে কি? কথা দিলেই যে কথা রাখতে হবে, তা তো নয়।

ভোটার : তাইলে ভাতিজা তোমারেও কথা দিলাম।

***

আমি মরতে যাচ্ছি

এক বৃদ্ধ মৃত্যুশয্যায়। চিকিৎসক বলেছেন খুব বেশি হলে ঘণ্টা-খানেকের মধ্যে মারা যাবেন তিনি। তার আত্মীয়-স্বজন সবাই ভিড় করেছে তার বিছানার পাশে। তাকে সাহস দেয়ার চেষ্টা করছে-

নাতি : দাদু তোমার মুখটা খুব উজ্জ্বল দেখাচ্ছে।

ছেলে : বাবা তোমার শ্বাস-প্রশ্বাস তো একদম নরমাল।

পুত্রবধূ : শরীরের তাপমাত্রাও তো বেশ স্বাভাবিক।

বৃদ্ধ : শুনে ভালো লাগছে যে সুস্থ অবস্থায় আমি মরতে যাচ্ছি।