হীরার হারের স্বপ্ন

স্ত্রী : শুনছো, জানো কাল রাতে একটা স্বপ্ন দেখলাম, তুমি আমাকে একটা হীরার হার আর কানের দুল কিনে দিয়েছ।

স্বামী : আরে বাহ! আমিও তো একই স্বপ্ন দেখলাম।

স্ত্রী : তুমি আবার কি দেখলে?

স্বামী : দেখলাম, তোমার বাবা আমার হাতে টাকা দিয়ে বলছেন, ‘বাবা ফজল, মেয়েটাকে একটা হীরার ভালো হার ও কানের দুলের সেট কিনে দিও।’

*****

চা নিয়ে কবিদের কাব্যালাপ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাসায় বড় বড় কবিদের আড্ডা হচ্ছে। তাঁর স্ত্রী মৃণালিনী দেবী সেখানে সবার জন্য চা বানিয়ে নিয়ে গেছে। বিরজার বানানো চা খেয়ে প্রথমে কবিগুরু বললেন, ‘আমারও পরানো যাহা চায়, তার কিছু নাই, কিছুই নাহি এই চায়ে গো।’

এটা শুনে বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলাম লাফ দিয়ে উঠে বললেন, ‘আমি বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত, আমি সেইদিন হব শান্ত! যদি ভালো করে কেউ চা বানিয়ে আনতো!’

নজরুলের কথা শুনে উদাস মুখে জীবনানন্দ দাস বললেন, ‘আর আসিব না ফিরে, রবি ঠাকুরের নীড়ে, গরম চায়ে মুখ দিয়ে ঠোঁট
গিয়েছে পুড়ে।’

কিছুক্ষণ পরেই কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য বললেন, ‘কবিতা তোমাকে দিলাম আজকে ছুটি, এক কাপ চা যেন ঝলসানো ছাই!’

হেলাল হাফিজ তখন গুমরে গুমরে বললেন, ‘নষ্ট পাতির সস্তা চায়ে মুখ হয়েছে তিতা! কষ্ট চেপে নষ্ট চায়ে, মুখ দিয়েছি কিতা?’

রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ নরম কণ্ঠে বললেন, ‘ভালো আছি, ভালো থেকো! চায়েতে চিনি বেশি মেখো! দিও তোমার......।’

তাকে থামিয়ে দিয়ে কবি নির্মলেন্দু গুণ বললেন, ‘আমি হয়তো মানুষ নই, মানুষগুলো অন্যরকম! মানুষ হলে এমন চায়ে চুমুক
দিতাম না!’

সবশেষে রবীন্দ্রনাথ অসহায় চোখে মৃণালিনী দেবীর দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘ওরে অধম, ওরে কাঁচা! ভালো করে চা বানিয়ে, আমাকে তুই বাঁচা!’

***
পায়ে পাড়া দিয়া সরি কইলো

বাবা : কিরে কাঁদছিস কেন?

ছেলে : ওই বুড়ো লোকটার পায়ে পাড়া মেরেছিলাম।

বাবা : সে কি! উনার কাছে ক্ষমা চাসনি?

ছেলে : হ্যাঁ, চেয়েছি।

বাবা : তবু মারলো? চলতো গিয়ে দেখি।

বাবা গিয়ে বলল-

বাবা : কি ব্যাপার চাচা, ছেলেটা আপনার কাছে ক্ষমা চাইলো, তাও ওকে এভাবে মারলেন?

বুড়ো : সাধে কি আর মারছি? তোমার পোলায় আমার পায়ে পাড়া দিয়া সরি কইলো। আমি তার ভদ্রতায় খুশি হইয়া তারে ১০টা টাকা দিলাম। ব্যাটা টাকার লোভে আবার আমার পায়ে পাড়া মারলো!