দুই মাতালের কাণ্ড

এক রাতে দুই মাতাল এমন মদ খেয়েছে যে, ঠিকমতো হাঁটতেই পারছে না। তারপরও একটা বিল্ডিং দেখে এক মাতাল আরেক মাতালকে বলল-

১ম মাতাল : দেখ, কতো সুন্দর ওই বিল্ডিংটা! চল, ওটাকে ঠেলে আমাদের বাসায় নিয়ে যাই।

এরপর দুই মাতাল মিলে সমানে বিল্ডিংটাকে ঠেলতে লাগলো। একটু পরেই পরিশ্রমে ওদের শরীর থেকে দরদর করে ঘাম ঝরতে লাগলো। তখন ওরা ওদের

জামা খুলে আবার সমানে বিল্ডিংটাকে ঠেলতে লাগলো। একটু পর এক চোর ব্যাপার-স্যাপার দেখে পিছন থেকে ওদের জামা নিয়ে চুপচাপ সরে পড়লো।

কিছুক্ষণ পর প্রথম মাতাল ওদের জামাগুলো নাই দেখে আরেক মাতালকে বলল-

১ম মাতাল : কিরে, আমাদের জামা গেলো কই?

২য় মাতাল : আরে, আমরা তো বিল্ডিংটাকে ঠেলতে ঠেলতে অনেক দূরে নিয়ে এসেছি না!

১ম মাতাল : তাহলে চল, জামা দু’টো নিয়ে আসি। নইলে আবার চোরে চুরি করে নেবে।

২য় মাতাল : কিন্তু বিল্ডিংটা যতো সুন্দর! চোর যদি বিল্ডিংটাই চুরি করে নিয়ে যায়?

১ম মাতাল : আচ্ছা, তাহলে এক কাজ করা যাক। বিল্ডিংটা নিয়েই চল!

এবার দুই মাতাল মিলে বিল্ডিংটাকে উল্টো দিকে ঠেলতে লাগলো!

********

পায়ে পাড়া দিয়া সরি কইলো

বাবা : কিরে কাঁদছিস কেন?

ছেলে : ওই বুড়ো লোকটার পায়ে পাড়া মেরেছিলাম।

বাবা : সে কি! উনার কাছে ক্ষমা চাসনি?

ছেলে : হ্যাঁ, চেয়েছি।

বাবা : তবু মারলো? চলতো গিয়ে দেখি।

বাবা গিয়ে বলল-

বাবা : কি ব্যাপার চাচা, ছেলেটা আপনার কাছে ক্ষমা চাইলো, তাও ওকে এভাবে মারলেন?

বুড়ো : সাধে কি আর মারছি? তোমার পোলায় আমার পায়ে পাড়া দিয়া সরি কইলো। আমি তার ভদ্রতায় খুশি হইয়া তারে ১০টা টাকা দিলাম। ব্যাটা টাকার লোভে আবার আমার পায়ে পাড়া মারলো!