আমার সঙ্গে বিছানায় যাবেন

আদালতে বিচার চলছিলো। আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে একটি মেয়েকে অশ্লীল প্রস্তাব জানিয়েছে। মেয়েটিকে যখন বলা হলো আসামি তাকে কি প্রস্তাব দিয়েছিলো, সবার সামনে সে কথা বলতে; মেয়েটি ভীষণ লজ্জা পেলো। আসামির প্রস্তাবটা সে এক টুকরো কাগজে লিখে দিলো।

জজ সাহেব কাগজটা পড়ে তা জুরীদের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। জুরীর প্রত্যেকে একে একে কাগজটা পড়ে সেটা পাশের জনকে বাড়িয়ে দিচ্ছিলেন।

জুরীদের মধ্যে একজন সুন্দরী মহিলাও ছিলেন। কাগজটা পড়ে পাশের জনকে দিতে গিয়ে তিনি দেখলেন, পাশের ভদ্রলোক ঝিমোচ্ছেন। তাকে মৃদু খোঁচা দিয়ে জাগিয়ে কাগজটা তার হাতে গুঁজে দিলেন।

ভদ্রলোক কাগজটা পড়ার পর মহিলার দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসলেন, ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানালেন। তারপর কাগজটা পকেটে রেখে হাসি মুখে বসে রইলেন। কাগজে লেখা ছিলো- ‘আমার সাথে বিছানায় যাবেন?’

***

হেঁটে যেতে পারবো না

একদিন এক প্রতিবেশী গোপাল ভাঁড়ের কাছে এসে-

প্রতিবেশী : আমাকে একটা চিঠি লিখে দাও।

গোপাল : আমি চিঠি লিখতে পারবো না, আমার পায়ে ব্যথা।

প্রতিবেশী : আশ্চর্য, চিঠি তো লিখবে হাত দিয়ে। পায়ে ব্যথা তাতে কী হয়েছে?

গোপাল : কারণ আমি অতোদূর হেঁটে যেতে পারবো না।

প্রতিবেশী : অতোদূর হাঁটতে পারবে না মানে?

গোপাল : মানে আমার লেখা চিঠি আমি ছাড়া আর কেউ পড়তে পারবে না। আমার হাতের লেখা খুব খারাপ তো। যাকে চিঠি পাঠাবে, তাকে তো আমাকেই

পড়ে দিয়ে আসতে হবে, তাই না? পায়ে ব্যথা নিয়ে যাবো কীভাবে?

****

আপনাকে গ্রেফতার করছি

সুধীর বাবুর বাড়িতে পুলিশ সার্চ করতে এলো। সার্চ করতে গিয়ে পুলিশ জাল নোট ছাপার যন্ত্রপাতি, রঙ এবং এ সংক্রান্ত আরো অনেক কিছুই পেলো। অবশ্য

কোন জাল নোট পাওয়া গেল না।

পুলিশ : নোট জাল করে ছাপার অপরাধে আপনাকে গ্রেফতার করছি।

সুধীর : একটাও কি জাল নোট পেয়েছেন?

পুলিশ : না, তা পাইনি। কিন্তু ছাপাবার যন্ত্র পেয়েছি। যন্ত্র থাকলেই আপনাকে আমরা গ্রেফতার করতে পারি।

সুধীর : তাহলে একটা মানুষ খুন করার অপরাধেও আমাকে গ্রেফতার করুন।

পুলিশ : কেন? আপনি কি কাউকে খুন করেছেন?

সুধীর : না তা করিনি। কিন্তু খুন করার মতো যন্ত্রতো আমার কাছে আছে।