৯ম বছরে পা রেখেছে বেসরকারি এয়ারলাইন্স সংস্থা নভোএয়ার। রোববার (৯ জানুয়ারি) এয়ারলাইন্সটি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করে। ২০১৩ সালে ৯ জানুয়ারি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটে ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে যাত্রী পরিবহন শুরু করে নভোএয়ার। বর্তমানে ৭টি এটিআর ৭২-৫০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে দৈনিক ২৬টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে তারা।

সুনাম ও সাফল্যের সঙ্গে এতোগুলো বছর অতিক্রম করার বিষয়ে নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মফিজুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, নভোএয়ার সবসময়ই যাত্রী নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নিরাপদ ভ্রমণে যাত্রীদের কাছে বিশ্বস্ততা অর্জন করেছে। সময়ানুযায়ী ফ্লাইট পরিচালনা ও যাত্রীসেবার মান আরও বাড়ানোর জন্য প্রতিনিয়ত বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রী সংখ্যার অসাধারণ গ্রোথ হয়েছে (বৃদ্ধি পেয়েছে)। নতুন বছরে নভোএয়ার তার বহরে নতুন এয়ারক্রাফট যুক্ত করে এই গ্রোথকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। 

বর্তমানে বাংলাদেশে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এবং নভোএয়ার এই দুটি বেসরকারি এয়ারলাইন্স ফ্লাইট পরিচালনা করছে। ইউএস-বাংলা ও নভোএয়ার যৌথভাবে এই এভিয়েশন খাতকে আরও উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন এমডি মফিজুর রহমান। 

নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান 

 

বর্তমানে নভোএয়ার ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, যশোর, সিলেট, সৈয়দপুর, বরিশাল ও রাজশাহী রুটে ফ্লাইট চলাচল করছে। 

এভিয়েশন খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এওএবি) নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির মহাসচিব হিসেবেও রয়েছেন মফিজুর রহমান। করোনায় জর্জরিত এভিয়েশন সেক্টর নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ধারণা ছিল ২০২১ সালের মধ্যেই করোনার প্রাদুর্ভাব শেষ হবে, এভিয়েশন খাতের শঙ্কাটাও চলে যাবে। কিন্তু নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের কারণে শঙ্কাটা রয়েই গেল। তারপরও আমরা মনে করি এভিয়েশন খাতে ওমিক্রনের প্রভাব আগের মতো পড়বে না। আমার আশা আমরা সহজেই করোনাকে অতিক্রম করতে পারব, স্বাভাবিক হবে এভিয়েশন খাত। 

এআর/জেডএস