বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুইটি ফ্লাইট বিলম্বে বিপাকে পড়েছেন সৌদি ও ওমানের প্রবাসীরা। ফ্লাইট ধরার জন্য ঢাকায় এসে বিমানবন্দরের বাইরে খোলা আকাশের নিচে রাত যাপন করেন। যাত্রীরা রাতেই বিমানবন্দরের বাইরে বিক্ষোভ করেছেন ।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বুধবার (২৭ জানুয়ারি) রাত ৯টা ৪৫ মিনিটের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঢাকা টু মাস্কাট রুটের বিজি-২১ ফ্লাইটটি প্রায় ১২ ঘণ্টা ডিলে করা হয়েছে। এছাড়াও ঢাকা টু রিয়াদ রুটের বিজি-৩৯ ফ্লাইটটি রাত ১টা ১৫ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও এটি প্রায় ১১ ঘণ্টা পিছিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় করা হয়েছে।

রিয়াদ ফ্লাইটের যাত্রী সালাম আহমেদ ঢাকা পোস্টকে জানান, আমরা পরিবার নিয়ে ঢাকায় এসে বিপাকে পড়েছি। বিমানবন্দরে এসে আমরা দেয়ালে নোটিশ দেখে জানতে পারলাম যে ফ্লাইট দেরিতে যাবে।

তিনি বলেন, আমাদের করোনা টেস্টের মেয়াদ ৭২ ঘণ্টা রাতের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। আমরা আদৌ এই টেস্টের রিপোর্ট নিয়ে সৌদি যেতে পারবো কি না এবিষয়ে কথা বলার মতো কাউকে পাচ্ছি না। 

মাস্কাট ফ্লাইটের যাত্রী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এমনিতেই ফ্লাইট ছাড়ার নির্ধারিত সময়ের ৬ ঘণ্টা আগে আমাদের বিমানবন্দরে থাকতে বলা হয়েছে। ডিলের কারণে প্রায় এক দিন এখানেই কাটাতে হচ্ছে। পরিবার নিয়ে এখন আমরা কোথায় রাত কাটাবো।

এদিকে আকস্মিক এই ফ্লাইট ডিলের বিষয়ে বিমানের কোন কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বিমানবন্দরে দেওয়া নোটিশে বিমান জানিয়েছে, করোনাকালীন সময়ে বিমানের পাইলট-ক্রুদের শিডিউলিংয়ে কিছুটা জটিলতার কারণে ফ্লাইট বিলম্ব হয়েছে।

ফ্লাইট বিলম্বে বিমানের যাত্রীদের নিয়ে ভোগান্তির নিয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, কোনো এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট টেকনিক্যাল বা কোনো বিজনেস পার্পাসে যদি বিলম্ব হয় সেটা আমাদের অবহিত করার কথা। তাছাড়া বিলম্বের কারণে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়লে সেটাও বিমানবন্দরে অবহিত করতে পারে। আমরা তাদের সেসব অভিযোগ খতিয়ে দেখব। সবাইকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনা হবে।

এআর/ওএফ