বাংলাদেশ থেকে সরাসরি ফ্লাইট চায় ভিয়েতনাম
বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু করতে চায় ভিয়েতনাম। পর্যটক ও দুই দেশের জনগণের যাতায়াতের সুবিধার্থে শিগগিরই হ্যানয়-ঢাকা-হ্যানয় রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালুর আগ্রহ প্রকাশ করেছে দেশটি।
মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ফ্লাইটের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চেইন।
বিজ্ঞাপন
বর্তমানে বাংলাদেশের যাত্রীদের মালয়েশিয়ান এয়ারওয়েজ ও মালিন্দো এয়ারের ফ্লাইটে কুয়ালালামপুর হয়ে ভিয়েতনাম যেতে হচ্ছে।
সাক্ষাৎকালে ফ্লাইট চালুর বিষয়ে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম দুটি দেশই মুক্তির জন্য দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়েছে। আকাশ পথে সরাসরি যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হলে এই দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।
ফাম ভিয়েত চেইন বলেন, বাংলাদেশের প্রকৃতি, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও বন্ধুসুলভ জনগণ পর্যটন শিল্পের বড় সম্পদ। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যে পরিণত হওয়ার সব সম্ভাবনা বাংলাদেশের রয়েছে। ভবিষ্যতে দুই দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্র উন্নয়নে পর্যটন ও সিভিল এভিয়েশন খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এ সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, পর্যটন শিল্প ও এভিয়েশন খাতের উন্নয়নে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে তা দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটানোর পাশাপাশি জনগণের মধ্যে সংযোগ হিসেবে কাজ করবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বহুমাত্রিক ও গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে। পর্যটন শিল্পের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কক্সবাজারের ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালসহ নানা ধরনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে, যা পর্যটন শিল্পের বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। দেশের প্রধান পর্যটন নগরী কক্সবাজারে অবস্থিত বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করণের কাজ চলছে, ফলে ভিয়েতনামের পর্যটকদের বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে পর্যটকরা সরাসরি কক্সবাজার আসতে পারবেন, উপভোগ করতে পারবেন বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য।
এআর/এসকেডি