যশোর থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের দ্বার খুলল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স
যশোর থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার রুটে ফ্লাইট চালু করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। বৃহস্পতিবার সকালে যশোর বিমানবন্দর থেকে এই দুই রুটের ফ্লাইট উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
নতুন রুটে ফ্লাইট উদ্বোধন করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে যশোর থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ফ্লাইট চালু করেছে। যশোর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ব্যবসা, পর্যটন ও শিল্প সম্প্রসারণ করতে এই ফ্লাইটগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমরা চাই বাংলাদেশের এয়ারলাইনসগুলো এভাবেই দেশের গণ্ডি পেরিয়ে পৃথিবীর সব দেশে বাংলাদেশের পতাকা বহন করে ফ্লাইট পরিচালনা করুক।
বিজ্ঞাপন
মাহবুব আলী আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে দেশের এভিয়েশন শিল্প দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। আগামী ১৫ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরের প্রবৃদ্ধি হবে প্রায় তিনগুণ। ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের এভিয়েশন মার্কেট প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিগত ১০ বছরে যাত্রী এবং কার্গো পরিবহন প্রায় ১০ শতাংশ হারে বেড়েছে। এভিয়েশন সেক্টরের বিপুল প্রবৃদ্ধির এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো সম্ভব হলে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগের পাশাপাশি দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে।
অনুষ্ঠানে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ২০১৪ সালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স মাত্র ১৫০ জন স্টাফ নিয়ে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে এয়ারলাইন্সটির বহরে ১৪টি নতুন এয়ারক্রাফট রয়েছে। আমরা এয়ারলাইন্সটির পরিধি আরও বড় করব। আগামী ২ বছরের মধ্যে আরও ১৬টি ব্র্যান্ড নিউ এয়ারক্রাফট ক্রয় করে ফ্লাইট পরিচালনা করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ফিতা কেটে যশোর-চট্টগ্রাম রুটের ফ্লাইটের উদ্বোধন করেন। এয়ারক্রাফটে ঢুকে যাত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, আনোয়ারুল আজিম আনার, মো. নাসির উদ্দিন, বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল মো. শাফকাত আলী, পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন, জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার প্রমুখ।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার যশোর থেকে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে চট্টগ্রামের উদ্দেশে এবং একই দিন বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে চট্টগ্রামের হযরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যশোরের উদ্দেশে যাত্রার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
শনি, সোম, বুধ ও শুক্রবার যশোর থেকে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে কক্সবাজারের উদ্দেশে এবং কক্সবাজার থেকে বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটে যশোরের উদ্দেশে যাত্রার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
সকল প্রকার ট্যাক্স ও সারচার্জসহ যশোর থেকে চট্টগ্রামে ওয়ানওয়ের ন্যূনতম ভাড়া ৬,০০০ টাকা এবং রিটার্ন ভাড়া ১২,০০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া যশোর থেকে কক্সবাজারে ওয়ানওয়ের ন্যূনতম ভাড়া ৬,৫০০ টাকা এবং রিটার্ন ভাড়া ১৩,০০০ টাকা; সৈয়দপুর থেকে চট্টগ্রামের ওয়ানওয়ের ন্যূনতম ভাড়া ৬,২০০ টাকা এবং রিটার্ন ভাড়া ১২,৪০০ টাকা ঠিক করা হয়েছে।
খুব শিগগিরই সৈয়দপুর থেকে কক্সবাজার এবং সিলেট থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার রুটে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে ইউএস-বাংলা।
ইউএস-বাংলা এয়ালাইন্সের বিমান বহরে ১৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে। যার মধ্যে ৪টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, ৭টি ব্র্যান্ডনিউ এটিআর ৭২-৬০০ এবং ৩টি ড্যাশ ৮-কিউ৪০০।
এআর/এনএফ/জেএস