আল্টিমেটাম থেকে সরে এলেন বিমানের পাইলটরা
অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বেতন ভাতা সমন্বয় এবং বেতন কর্তনের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে আগামী ৩০ জুলাই পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলটরা। বেতন সমন্বয় না হলে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির বাইরে ফ্লাইট পরিচালনা না করার ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা। আন্দোলনে সৌদি আরবের দাম্মাম, কাতারের দোহা, আবুধাবি ও দুবাই রুটে ফ্লাইট বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। হিড়িক লেগেছিল এসব রুটের ফ্লাইটের টিকিট ফেরতের।
তবে বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলটরা। আগের মতোই দায়িত্ব পালনের কথা জানিয়েছেন তারা।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) বিমানের পাইলটদের সংগঠন বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে জানান, বেতন বৈষম্যের সমস্যাটি নিয়ে বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। বেতন সমন্বয়ের বিষয়টি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস পেয়েছি। আলোচনায় বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকও (এমডি) আশ্বাস দিয়েছেন, আগামী বোর্ড মিটিংয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে।
এর আগে ২০২০ সালের মে মাস থেকে বিমানের পাইলটদের বেতন ২৫ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কাটার সিদ্ধান্ত হয়। ২০২১ সালে জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে বিমানের পরিচালক (প্রশাসন) জিয়াউদ্দীন আহমেদের একটি অফিস আদেশে বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কর্তনের সিদ্ধান্ত বাতিল করেন। তবে পাইলটদের বেতন কর্তনের বিষয়টি বহাল থাকে। এরপর ক্ষুব্ধ হন তারা। তারা বেতন বৈষম্যের প্রতিবাদ জানান এবং ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে বেতন সমন্বয়ের আহ্বান জানান। অন্যথায় বিমানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির বাইরে কাজ না করার ঘোষণায় দেন তারা। ফলে বেশ কয়েকটি রুটে ফ্লাইট চলাচলে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল।
বিমানের জারি করা ওই আদেশে বলা হয়েছিল, বিমানে কর্মরত ‘কর্মকর্তা’ এবং যেসব ককপিট ক্রুর চাকরির বয়স শূন্য থেকে পাঁচ বছর, জুলাই মাসে তাদের কোনো বেতন কাটা হবে না।
তবে আদেশে ককপিট ক্রুদের বিষয়ে বলা হয়, যেসব ককপিট ক্রুর (পাইলট অন্তর্ভুক্ত) চাকরির বয়স ৫ থেকে ১০ বছর জুলাই মাসে তাদের বেতন থেকে ৫ শতাংশ এবং যাদের চাকরিকাল ১০ বছর বা এর ঊর্ধ্বে তাদের ২৫ শতাংশ বেতন কাটা হবে।
এআর/এসএসএইচ