রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বন্ধ হয়ে যাওয়া রুট আবারও চালু করার পরিকল্পনা করছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (৩ মে) ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন বক্তব্যে একথা বলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বমানের বিমান পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। গত ১২ বছরে বিমান বহরের বিদ্যমান পুরোনো প্লেন সরিয়ে ফেলাসহ বহর সম্প্রসারণে ব্যাপক কার্যক্রম নিয়েছে। এরইমধ্যে চারটি নতুন ৭৭৭-৩০০ইআর, দুটি নতুন ৭৩৭-৮০০ এবং চারটি নতুন ৭৮৭-৮ (ড্রিমলাইনার) উড়োজাহাজ বাংলাদেশ বিমানের বহরে যুক্ত হয়েছে। এছাড়াও জি-টু-জি ভিত্তিতে তিনটি ড্যাশ-৮ প্লেন বাংলাদেশ বিমানের বহরে যুক্ত হয়েছে। সরকার বাংলাদেশ বিমানের আন্তর্জাতিক রুটগুলো সম্প্রসারণ ও পুনঃপ্রবর্তনের পরিকল্পনা নিয়েছে।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বলে জানান তিনি।

সরকারের প্রকল্পগুলো উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল প্রকল্প (২য় পর্যায়), একই বিমানবন্দরে অত্যাধুনিক রাডার স্থাপন, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উন্নয়ন, চট্টগ্রাম শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উন্নয়ন ও কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ, যশাের বিমানবন্দর উন্নয়ন, পিপিপি’র আওতায় খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণ এবং সৈয়দপুর, যশাের ও রাজশাহী বিমানবন্দরের রানওয়ে ১০ হাজার ফুটে উন্নীতকরণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আশা করা যায়, এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে। 

পর্যটন শিল্পের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, পর্যটন খাতে করোনা ভাইরাসের মহামারির নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পর্যটন কার্যক্রম সচল রাখার জন্য একটি এসওপি প্রণয়ন করেছে। অধিকন্তু বাংলাদেশের প্রাকৃতিক, ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়, ইত্যদি তীর্থস্থানগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

এর আগে বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বাজেট বক্তৃতার মাধ্যমে প্রস্তাবিত বাজেট পেশ শুরু করেন তিনি। অর্থমন্ত্রী হিসেবে তার এটি তৃতীয় বাজেট। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।

এআর/জেডএস