আকাশসীমায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভুঁইয়া।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) বেবিচক সদর দপ্তরে বিমান দুর্ঘটনা পর্যালোচনান্তে বিমান চলাচল সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে  ও সকল অংশীজনের করণীয় বিষয়ক একটি কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।

কর্মশালায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, নভোএয়ার, এয়ার অ্যাস্ট্রা ও এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন কমিটির সদস্যরা আলোচনা করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেবিচক চেয়ারম্যান সাম্প্রতিক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। 

তিনি বলেন, আকাশপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বেবিচক এবং এভিয়েশন স্টেকহোল্ডারদের যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে একটি নিরাপদ বিমান চলাচলের পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য কাজ অব্যাহত রয়েছে। তিনি সব স্টেকহোল্ডারদের ঝুঁকি শনাক্ত ও ঝুঁকি কমানোর উপায় খুঁজে বের করতে সহযোগিতামূলকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

বেবিচক চেয়ারম্যান দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, ২০৩০ সালের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রমে শূন্য প্রাণহানির লক্ষ্য অর্জন করে আইকাও গ্লোবাল অ্যাসপিরেশনাল সেফটি গোলস পূরণ করা সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, বিমান চলাচলে দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা পরিকল্পনায় সবাই একসঙ্গে কাজ করলে আমরা দুর্ঘটনা মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবো। তিনি কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী আলোচকগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, টিমওয়ার্ক সব বিমান চলাচল স্টেকহোল্ডারদের জন্য অপরিহার্য। বেবিচক চেয়ারম্যান বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের সবার দায়িত্ব।

পরিশেষে, তিনি বেবিচকের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে বলেন যে, বিমানবন্দরের আশেপাশে বার্ড স্ট্রাইক কন্ট্রোল, বোর্ডিং ব্রিজ অপারেটরদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ এবং সিভিল এভিয়েশন একাডেমিতে নিরাপত্তা বিষয়ক বিশেষ প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন বিমানবন্দরে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

কর্মশালায় বেবিচক এর সব সদস্য ও অন্যান্য পর্যায়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

এআর/এআইএস