বেসামরিক বিমানে যে কোন অনভিপ্রেত ঘটনা সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে দ্রুত এবং কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে বাংলাদেশ সক্ষম বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া। 

তিনি বলেন, আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করে বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরকে আরও নিরাপদ ও যাত্রীসেবার মান আরও উন্নত করতে পারবো।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ‘এয়ারপোর্ট ইমার্জেন্সি এক্সারসাইজ ২০২৪’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মঞ্জুর কবীর বলেন, ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইকাও) এনেক্স-১৭ এর বিধি অনুযায়ী, হাইজ্যাক, অগ্নি নিরাপত্তা, বোমা হামলাসহ বিভিন্ন ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য প্রতি দুই বছর পর এই ধরনের মহড়ার আয়োজন করা হয়। তারই অংশ হিসেবে আজকে এ মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে। এ মহড়ার মূল লক্ষ্য হচ্ছে অংশীজনদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য আমাদের প্রস্তুতিকে আরও শক্তিশালী করা।

তিনি বলেন, এ ধরনের মহড়া আমাদের সীমাবদ্ধতাগুলো চিহ্নিত করার পাশাপাশি সিস্টেমকে পুনর্বিবেচনা ও উন্নত করার সুযোগ করে দেয়। এটি শুধু ঘাটতিগুলো নিরূপণ করতেই সাহায্য করে না, বরং বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে কার্যকর সমন্বয়ও নিশ্চিত করে। আমরা আশা করি, যাত্রীদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা ও সেবা নিশ্চিত করতে এই ধরনের মহড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

আজকের মহড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এটি আমাদের দক্ষতা এবং প্রস্তুতির একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং দায়িত্বশীলতার ফলই হচ্ছে সফল মহড়া। এভাবে, যেকোনো অনভিপ্রেত ঘটনায় আমরা সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে দ্রুত এবং কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে পারি। এই মহড়ার সফলতা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। এই বছর বাংলাদেশে আইকাও এর অডিট অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের এই মহড়ার কার্যক্রম সেই অডিটেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তারা (আইকাও) আমাদের প্রস্তুতি ও সক্ষমতা যাচাই করবে। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের এই অভিজ্ঞতা আইকাও এর অডিটে ইতিবাচক ফল আনতে সাহায্য করবে।

এর আগে, বেলা ১১টায় এয়ারপোর্ট ইমার্জেন্সি এক্সারসাইজের কার্যক্রম শুরু হয়। মহড়ায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বেবিচক, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্ভিস, র‍্যাব, এপিবিএন, ডিএমপি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, জাহানআরা ক্লিনিক, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা এবং নভোএয়ার সম্মিলিতভাবে অংশগ্রহণ করে।

আরএইচটি/এসএম