হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নতুন ট্রলি সংযোজন করা হয়েছে। বর্তমানে ট্রলি সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬০০-তে। ক্যানোপি থেকে বের হয়ে ট্রলি নিয়ে বহুতল পার্কিং ও রাস্তার আগ পর্যন্ত যাওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

কর্তৃপক্ষ বলছে, বিমানবন্দর দিয়ে বছরে আন্তর্জাতিক রুটে প্রায় ৫৫ হাজার ফ্লাইট এবং অভ্যন্তরীণ রুটে প্রায় ৫৩ হাজার ফ্লাইট পরিচালিত হয়। বছরে প্রায় ৯০ থেকে ৯৫ লাখের বেশি যাত্রী আন্তর্জাতিক রুটে এবং প্রায় ২৩ থেকে ২৫ লাখ যাত্রী অভ্যন্তরীণ রুটে যাতায়াত করেন। ২০২৩ সালে প্রায় এক কোটি ১৭ লাখ যাত্রী এই বিমানবন্দর ব্যবহার করেছেন। সেবা দিচ্ছে ৪০টি এয়ারলাইন্স কোম্পানি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিমানবন্দরে প্রায়ই যাত্রীদের লাগেজ দেরিতে আসা ও লেফট বিহাইন্ড (লাগেজ ফেলে আসা) নিয়ে অভিযোগ পাওয়া যায়। এই কার্যক্রম আরও গতিশীল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, লাগেজ ডেলিভারি পেতে সমস্যার সম্মুখীন হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি কর্তৃক তাৎক্ষণিক সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাত্রীর কাছে ১৫ মিনিট থেকে ৫৫ বা ৬০ মিনিটের মধ্যে লাগেজ ডেলিভারি নিশ্চিত করা হয়েছে প্রায় ৮৮ শতাংশ। লাগেজ ডেলিভারির সময় আরও কমিয়ে নিয়ে আসার জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিমানবন্দরে আগমন ও বহির্গমন এলাকায় যাত্রীদের তথ্য ও দিক নির্দেশনা প্রদানের লক্ষ্যে নতুন করে হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। প্রবেশপথে দুটি এবং বহির্গমন এলাকায় তিনটি হেল্প ডেস্কে ৫৪ জন সহকর্মী ২৪ ঘণ্টা বিনামূল্যে যাত্রীদের বিভিন্ন তথ্য ও দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমানবন্দরে কর্মরত সকল সংস্থার সদস্য কর্তৃক যাত্রীদেরকে আন্তর্জাতিক মানের সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে প্যাসেঞ্জার সার্ভিস অ্যান্ড ফ্যাসিলিটেশন ইন সিভিল এভিয়েশন নামে একটি প্রশিক্ষণ করানো হচ্ছে। এই পর্যন্ত ২৮টি ব্যাচে প্রায় ৮০০ জন বিমানবন্দরে কর্মরত সদস্য এই কোর্সটি সম্পন্ন করেছে।

এছাড়াও বিভিন্ন এয়ারলাইন্স কর্তৃক যাত্রীদের লাগেজ রেখে আসা বা লেফট বিহাইন্ড রোধেও কাজ করে যাচ্ছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। লেফট বিহাইন্ড সমস্যা অনেকটা উন্নতি করা হচ্ছে। বর্তমানে লেফট বিহাইন্ডের ৯৯.৮০ শতাংশ লাগেজ যাত্রীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে যাত্রীদের সুবিধার্থে ১০টি ফ্রি টেলিফোন বুথ ও ফ্রি ওয়াই-ফাইয়ের ব্যবস্থা করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

এআর/এমজে