যাত্রীদের জন্য দ্রুততম সময়ে লাগেজ ডেলিভারির ব্যবস্থা করেছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। প্লেন থেকে নামানোর পর দ্রুততম সময়ে লাগেজ দেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন তারা।

বিমানবন্দর জানায়, গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং প্রতিষ্ঠান বিমানকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে লাগেজ দেওয়ার জন্য সহযোগিতা ও সার্বক্ষণিক সমন্বয় করে কাজ করছে বিমানবন্দরের এভিয়েশন সিকিউরিটির (এভসেক) সদস্যরা। 

এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে যাত্রীদের জন্য এক ঘণ্টা ফ্রি ওয়াইফাই সেবা এবং ফ্রি ফোন কলিং সেবা রাখা হয়েছে। বিমানবন্দরে পৌঁছে স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগের ঝক্কি কমাতে চালু হয়েছে ১০টি টেলিফোন বুথ। এতে যে কোনো প্রবাসী দেশে নেমেই বিনামূল্যে তার পরিবারকে ফোন দিতে পারবেন।

দ্রুত লাগেজ ছাড় পেয়ে স্বস্তি জানাচ্ছেন প্রবাসীরা। গত ২০ আগস্ট শারজাহ থেকে ঢাকায় আগত প্রবাসী জুলহাস উদ্দীন বলেন, আমি ২০ আগস্ট ঢাকায় অবতরণ করেছি। রাতে অবতরণ করলে সবসময় চাপ বেশি থাকে, লাগেজ পেতে দেরি হয়। এই প্রথম ইমিগ্রেশন শেষ করে ৫-৬ মিনিটের মধ্যেই লাগেজ পেয়ে গেছি।

১৯ আগস্ট নেপালের কাঠমান্ডু থেকে ঢাকায় আসা যাত্রী ফায়সাল খান জানান, আলহামদুলিল্লাহ খুবই ভালো সার্ভিস পেলাম। বিজি-৩৭৪ ফ্লাইটে কাঠমান্ডু থেকে ঢাকায় আসার পর ২০ মিনিটের মধ্যে লাগেজ হাতে পেয়েছি।

৩০ আগস্ট মালদ্বীপ থেকে ঢাকায় আসা প্রবাসী শ্রমিক আবুল খায়ের সবুজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ২০০৮ সাল থেকে এখনো মালদ্বীপ যাওয়া আসা করছি। দীর্ঘদিন ধরে বিমানবন্দরে নানা হেনস্তা ও ভোগান্তির সম্মুখীন হয়েছি। তবে সর্বশেষ শুক্রবার এসে অভূতপূর্ব পরিবর্তন দেখতে পেলাম। আলহামদুলিল্লাহ, এয়ারপোর্টে আমাদের এমন সম্মান করেছে, যা পৃথিবীর ইতিহাসে ভোলা যাবে না।

এদিকে বিমানবন্দরে যাত্রী লাঞ্ছনা, লাগেজ কেটে চুরি, ইমিগ্রেশন পুলিশ, কাস্টমসসহ পদে পদে হয়রানি বন্ধেও লক্ষণীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়ার নেতৃত্বে আমরা বিমানবন্দরের সার্ভিস উন্নত করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এরই অংশ হিসেবে হেল্প ডেস্কসহ বিমানবন্দরের সব ধরনের সুবিধা আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয় হয়েছে।

তিনি বলেন, যাত্রীদের যে কোনো তথ্য ও অভিযোগ জানানোর জন্য ‘১৩৬০০’ নম্বরের কল সেন্টার, নতুন ওয়েব পোর্টাল (www.hsia.gov.bd), কাস্টমার রিলেশনশিপ মডিউল সফটওয়্যারসহ আরও নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এভসেকের পক্ষ থেকে বিমানকে দ্রুততম সময়ে লাগেজ দেওয়ার জন্য সহযোগিতা করা হচ্ছে। আমরা নিরবচ্ছিন্নভাবে এধরনের সেবা কার্যক্রমগুলো অব্যাহত রাখতে চাই। যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ আপনারা এই সেবাগুলো নিয়ে আপনাদের মতামতগুলো আমাদের কল সেন্টারে (১৩৬০০) ফোন করে জানান।

এআর/এসএম