গত এক দশকে পদোন্নতি না পাওয়া বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সেরা কর্মীরা আবারও পদোন্নতি বঞ্চিত হচ্ছেন। সম্প্রতি বেবিচকের বঞ্চিতদের পদোন্নতি দিতে একটি কমিটি করা হয়েছিল। সেই কমিটিও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কর্মীসহ যোগ্যদের পদোন্নতি দিচ্ছে না বলে জানা গেছে।

পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন বেবিচকের ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন্স বিভাগের কর্মকর্তা এয়ার অপারেটর সার্টিফিকেশন্স সেলের প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রকৌশলী মোহাম্মদ সফিউল আজম, বেবিচকের যোগাযোগ প্রকৌশলী মোহাম্মদ উল্লাহ, এরোড্রম অফিসার ওমর শরীফ, সহকারী পরিচালক মো. হারুন।

বঞ্চিতদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রাপ্ত বাংলাদেশের একমাত্র এভিয়েশন সেফটি বিশেষজ্ঞ সিভিল এভিয়েশনের কর্মকর্তা সফিউল আজমও।

বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, সফিউল আজম ছাত্রজীবনে একসময় ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় গত ১০ বছর চরম বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। সফিউল আজমকে সিভিল এভিয়েশনের পদোন্নতি বোর্ড এবারও পদোন্নতির জন্য বিবেচনা করেনি। যদিও তিনিই সবচেয়ে সিনিয়র।

সফিউল আজম। ছবি- সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইকাও) এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন উভয় প্রতিষ্ঠানের এভিয়েশন সেফটি রেগুলেশন্স বিশেষজ্ঞ হিসেবে বাংলাদেশের একমাত্র স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি সফিউল আজম। একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে তিনি আগেও ভারত ও মালদ্বীপের এভিয়েশন কার্যক্রমের ওপর অডিট করেছেন। এই দুই দেশকে আন্তর্জাতিক এভিয়েশন রেগুলেশন্সের সঙ্গে অধিকতর সামঞ্জস্য থাকার ব্যাপারে করণীয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন।

বেবিচকের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, এছাড়াও তিনি এককভাবে বাংলাদেশের এভিয়েশনের জন্য একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রুলস, রেগুলেশন্স, পদ্ধতি তৈরি করেছেন যা সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে এবং উক্ত রেগুলেশন্স প্রতিপালন করেই বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সগুলো ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে। এমন একজন বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তাকে রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে দীর্ঘদিন বিদেশ সফর, পদোন্নতি বঞ্চিতসহ বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন করে এমন পরিস্থিতির তৈরি করা হয়েছে যাতে তিনি বিদেশে চাকরি নিয়ে চলে যেতে বাধ্য হন।

সফিউল আজম ছাড়াও কোনো কারণ ছাড়াই বাকিদের পদোন্নতি বঞ্চিত করা হয়েছে।

এআর/এমএসএ